Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home মেয়াদহীন সনদে চলছে ১৪টি বড় হাসপাতাল
    জাতীয়

    মেয়াদহীন সনদে চলছে ১৪টি বড় হাসপাতাল

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কAugust 18, 20209 Mins Read
    Advertisement

    প্রতীক ইজাজ : ঢাকা শহরের নামকরা বড় ও মধ্যমসারির অনেক বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ। ২০১৮ সালে অনলাইনে লাইসেন্সের নিয়ম চালুর পর গত দুই বছরে এসব হাসপাতাল তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেনি। এর মধ্যে কিছু হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও আগে। এসব হাসপাতালের কোনোটি নবায়নের জন্য আবেদন করলেও আবেদনগুলো ত্রুটিপূর্ণ। বিশেষ করে বেড অনুযায়ী নির্ধারিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য নির্ধারিত ঘর পূরণ করতে না পারায় এসব আবেদন গ্রহণ করছে না স্বাস্থ্য অধিদফতর।

    নামকরা দুটি হাসপাতাল লাইসেন্স নবায়নকে কোনোই গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অধিদফতর জানিয়েছে। কিছু হাসপাতালকে আবেদনপত্র সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তা করছে না। ফলে বছরের পর বছর মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়েই চলছে এসব হাসপাতাল। নানা অজুহাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স নবায়ন না করেই নির্বিঘ্নে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সব জেনেও চুপ করে আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা শহরের নামকরা বড় ও  মধ্যমসারির ১৪টি হাসপাতালের বর্তমানে লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। তবে এর বাইরে নিয়মিতভাবে লাইসেন্স নবায়ন করছে এমন নামকরা বড় ও মধ্যমসারির ১০টি হাসপাতালের নামও জানা গেছে।

       

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স নবায়ন না হওয়ার জন্য অধিদপ্তরের অনলাইনে নবায়ন জটিলতাকে দায়ী করেছে। তারা জানিয়েছে, অনলাইনে যে ফরম, সেটি ত্রুটিপূর্ণ। সেখানে এমনসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা অনেক হাসপাতালের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তবে কিছু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ  শয্যা অনুযায়ী চিকিৎসক ও নার্স স্বল্পতার কথাও বলেছে। কিছু হাসপাতালের মালিক লাইসেন্স নবায়ন ফি বেশি বলে দাবি করেছেন। এমনকি পরিবেশ ছাড়পত্র ও ট্রেড লাইসেন্স জটিলতার কথাও বলেছেন অনেকে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এসব অভিযোগ আংশিক সত্য বলে জানিয়েছে। লাইসেন্সের সঙ্গে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের এমন এক কর্মকর্তা বলেন, লাইসেন্স নবায়ন না করার মূল কারণ চারটি। একটি হলো এসব হাসপাতাল লাইসেন্সের সময় কাগজপত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী ঠিকই দেখায়। কিন্তু পরের বছর নবায়নের সময় এই সংখ্যক জনবল দেখাতে পারে না। নবায়নের আবেদন করার পর পরিদর্শনে গেলে আবেদনে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে কোনো মিল পাওয়া যায় না। এসব সংশোধন করে ফের আবেদন করতে বলার পর থেকেই তাদের আর কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় কারণ স্থায়ী জনবল। নিয়ম হচ্ছে কোনো ১০ শয্যার হাসপাতালের জন্য কমপক্ষে তিনজন ডাক্তার, ছয়জন নার্স ও দুজন ক্লিনার রাখতে হবে। সে অনুপাতে যত বেড তত জনবল। এ জনশক্তি স্থায়ী হতে হবে। কিন্তু হাসপাতালগুলো এ শর্ত মানে না। তৃতীয় কারণ ট্রেড লাইসেন্স। প্রথমবার লাইসেন্স দেওয়ার সময় দেখা গেল সেটা বাণিজ্যিক এলাকা ছিল। পরেরবার সেটা আবাসিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তখন ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর ট্রেড লাইসেন্স পায় না। এছাড়া কিছু হাসপাতাল আবাসিক এলাকায় হওয়ার কারণে ট্রেড লাইসেন্স নিতে জটিলতায় পড়ে। চতুর্থ কারণ লাইসেন্স ফি। ২০১৮ সালের আগে সরকারি লাইসেন্স ফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য ছিল ১ হাজার ও হাসপাতাল ৫ হাজার টাকা। পরে ক্যাটাগরি ও স্থানভেদে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য ১৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা এবং হাসপাতাল ফি ২৫ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা। ফি নিয়ে গড়িমসির কারণেও অনেকে নবায়ন করে না।

    এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া  বলেন, বেশকিছু কারণে এসব হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে অনলাইনে লাইসেন্স ও নবায়ন পদ্ধতি চালু হয়েছে। এখন থেকে আর কোনো লাইসেন্স ও নবায়ন ম্যানুয়ালি দেওয়া হবে না। অনলাইন যে ফরম সেটা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। দেখা গেছে, অনেকে অনলাইনে আবেদন করেছে, কিন্তু অসম্পূর্ণ। দ্বিতীয় কারণ হলো, আগে যে লাইসেন্স ফি ছিল, এখন সেটা বেড়ে গেছে। এখন ফি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে দিতে হবে। অনেক সময় এমনও হয়েছে, অধিদপ্তর থেকে ঠিকমতো পরিদর্শন হয়নি। বিভিন্ন কারণেই হাসপাতাল মালিকরা নবায়ন পাননি। তাছাড়া কভিডের কারণে নবায়নের বিষয়টি অনেকখানি পিছিয়ে গেছে। আমি নতুন এসেছি। দেখছি কীভাবে সেগুলো সমাধান করা যায়।

    অনলাইন পদ্ধতি চালুর আগে থেকেও অনেক হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন নেই, কিন্তু সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ২০১৮ সালে আমি এ পদে ছিলাম না, সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলাম। তখন একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ২০১৮ সাল থেকেই অনলাইনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। সে সুযোগ হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য দেখা গেছে যে, মালিকরা অনিচ্ছা বা ইচ্ছায় অনলাইনে আসেননি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।

    ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় এখন অনলাইনে নতুন লাইসেন্স ও লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে বেশ গতি এসেছে বলে জানান পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া। তিনি বলেন, এখন মালিকরা অনলাইনে ইন করছেন এবং সফলভাবে অনেকে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করছেন। লাইসেন্স নেওয়া ও নবায়নের ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের জটিলতা ও মালিকপক্ষেরও গাফিলতি আছে বলে মনে করেন পরিচালক। তবে ২৩ আগস্টের মধ্যে যেসব হাসপাতাল লাইসেন্স ঠিক না করবে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই তিন বছর ধরে। মেয়াদ শেষ হয় ২০১৭ সালের জুনে। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ নবায়নের জন্য আবেদন করলেও ট্রেড লাইসেন্স ত্রুটিপূর্ণ ও জনবলসহ আরও কিছু তথ্য অসম্পূর্ণ হওয়ায় আবেদনপত্র গ্রহণ করছে না অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্ক ফোর্সের কাছে প্রস্তাবনা দিয়েছে, ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়টা যেন হালকা করা হয়। তবে ট্রেড লাইসেন্সের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন কোনো ঘোষণা আসেনি। অথচ এ তথ্য জানার পরও গত ১০ মে সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতালটি সাময়িকভাবে গ্রহণপূর্বক কভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

    এর আগে গত ১৪ জুলাই লাইসেন্সের ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মোর্শেদ বলেন, এটা প্রক্রিয়াধীন। নবায়ন করতে গেলে পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, এরকম অনেক ছাড়পত্র লাগে। আমরা অনলাইনে আবেদন করেছি। কোনো একটি তথ্য অসম্পূর্ণ থাকায় ওরা (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর) দিচ্ছে না।

    আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালের লাইসেন্স নেই ছয় বছর ধরে ও ল্যাবরেটরির লাইসেন্স নেই দুই বছর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, যখন লাইসেন্স ফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য ১ হাজার ও ৫ হাজার টাকা ছিল, তখন ২০১৭-১৮ সালের দিকে একবার ল্যাবের লাইসেন্স নিয়েছিল। আর হাসপাতালের লাইসেন্স নিয়েছিল ২০১৩-১৪ সালের দিকে। এরপর আর নবায়ন করেনি।

    এর আগে গত জুলাই মাসে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সধারী রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারির ঘটনায় গণমাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালের পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সের তালিকায় আইসিডিডিআর,বির নামও উঠে আসে। তখন (২৯ জুলাই) ‘আইসিডিডিআর,বির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স লাগবে না’ বলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিচালিত হয় ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং প্রাইভেট ক্লিনিকস এবং ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী। এ অধ্যাদেশের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা আইসিডিডিআর,বির জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ আইসিডিডিআর,বি কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নয়।

    তবে অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক হলেও প্রতিষ্ঠানটি যে দেশে কাজ করছে, সেই দেশের লাইসেন্স নিতে হবে। ১৯৮৭ সালে সরকার তাদের ২৫ বছরের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। সেটা ২০১২ সালে শেষ হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি তাদের ল্যাবরেটরি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করে। ফলে তারা লাইসেন্সের নীতিমালার বাইরে যেতে পারে না।

    গত দুই বছর ধরে লাইসেন্সের মেয়াদ নেই বারডেম হাসপাতাল, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের। ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ ছিল। দেড় থেকে দুই বছর আগে অনলাইনে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ একটি অসম্পূর্ণ আবেদন করে রেখেছে। সেখানে তাদের কাগজপত্র হালনাগাদ করা নেই।

    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ওদের ফর্মে ত্রুটি আছে। ওদের ফর্মে আছে মালিকের নাম লিখতে হবে। কিন্তু বারডেম হাসপাতালের তো কোনো মালিক নেই, জনগণ মালিক। চ্যারিটি হাসপাতালের যে ক্যাটাগরি, সেটা অধিদপ্তরের ফরমে নেই। এটা অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। এছাড়া বারডেম হাসপাতালের ভবন বানিয়েছে পিডব্লিউডি। পরিবেশের সার্টিফিকেট দেবে তারা। কিন্তু পিডব্লিউডি তো এ ধরনের সার্টিফিকেট নেয় না। তাছাড়া এটা সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সবকিছু আমরা অধিদপ্তরকে জানিয়েছি।

    মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের লাইসেন্স আছে কি না এ বছরের আগে পর্যন্ত তা জানত না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, এ বছরের শুরুর দিকে তারা এসেছিল লাইসেন্সের জন্য। তাদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। হাসপাতালটি সরকারি অনুদান পায়। লাইসেন্স যে নিতে হয়, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়নি।

    বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের ধানমন্ডি মূল শাখার লাইসেন্স ঠিক থাকলেও তাদের সিস্টার কনসার্ন উত্তরা আধুনিক হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই দুই বছর ধরে। ২০১৮ সালের জুনের পর তারা আবেদন করেছিল। কিন্তু অনলাইন আবেদনপত্রে অসম্পূর্ণ তথ্য দেওয়ায় লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।

    উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই তিন বছর ধরে। ২০১৬-১৭ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ নবায়নের জন্য কোনো আবেদনও করেনি।

    ঢাকার আশুলিয়ার নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই তিন বছর ধরে। মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬-১৭ সালে। এরপর হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু ২৫০ বেডের হাসপাতালের জন্য আবেদন করলেও পরিদর্শনে গিয়ে ১৬০ বেডের হাসপাতাল দেখা গেছে। এছাড়া অন্যান্য কাঠামোতেও সমস্যা ছিল। ফলে তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেনি অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান কাঠামোতে ২৫০ বেডের অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয় সেটা হাসপাতালকে জানানো হয়েছে। পরে তারা আর আবেদন করেননি।

    ধানমন্ডির নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনশক্তিসহ অন্যান্য যে কাঠামো, সেটা না থাকায় লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারছিল না। অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, দুই-তিন সপ্তাহ আগে তারা আবেদন করেছে।

    ঢাকার খিলক্ষেতের আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৮ সালে। গত বছর তারা নবায়নের জন্য আবেদন করে। অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ তথ্যের কারণে আবেদন সংশোধনের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে সংশোধন করে নতুন কোনো আবেদন জমা পড়েনি।

    সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতালের লাইসেন্স ঠিক থাকলেও নাম পরিবর্তনের পর ‘এভারকেয়ার হাসপাতাল’ এখনো লাইসেন্স পায়নি। অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, অ্যাপোলো যখন ‘এভারকেয়ার’ হলো তখন নামের ব্যাপারে তারা আমাদের একটি আবেদনপত্র দেয়। কিন্তু লাইসেন্স নবায়নের জন্য যে আটটা কাগজ পূরণ করতে হয়, সবগুলোতে তারা এভারকেয়ারের নামে নামটা পরিবর্তন করতে পারেনি। ফলে এভারকেয়ার হিসেবে সরকারের যে লাইসেন্সধারী তালিকা, সেখানে তারা এখনো আসতে পারেনি। এভারকেয়ারের জন্য জুলাই মাসের শুরুর দিকে আবেদন করেছিল। অ্যাপোলোর লাইসেন্স ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত।

    পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালের লাইসেন্স ঠিক থাকলেও তেজগাঁওয়ে শমরিতা মেডিকেল কলেজের লাইসেন্স নেই দুই বছর ধরে। অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সালের পর আর নবায়ন করেনি। মোহাম্মদপুরের মাদার কেয়ার হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই এক বছর ধরে। গত বছর ২৩ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন করলেও ট্রেড লাইসেন্স হালনাগাদ না হওয়ায় আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই দুই বছর হলো। ২০১৮ সালের জুনের পর নবায়নের জন্য আবেদন করা হলেও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সে আবেদন গ্রহণ করেনি অধিদপ্তর। মোহাম্মদপুরের কেয়ার হাসপাতাল ২০১৮ সালের পর তাদের লাইসেন্স নবায়ন করেনি। মিরপুরের ডা. আজমল হাসপাতালের লাইসেন্সও মেয়াদোত্তীর্ণ।

    এছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, ল্যাবএইড হাসপাতাল, গ্রীনলাইফ হাসপাতাল, হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতাল, লালমাটিয়ার ইউরো বাংলা হার্ট হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন, মেডিনোভা হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও সিদ্ধেশ্বরী রোডের মনোয়ারা হাসপাতালের লাইসেন্স ঠিক আছে বলে জানিয়েছে অধিদফতর।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৩ আগস্ট নতুন লাইসেন্স ও লাইসেন্স নবায়নে গতি এসেছে। আগে যেখানে নবায়ন ঝুলে ছিল ৪ হাজার ৫২৬ হাসপাতালে, সেটা কমে ৩ হাজার ৮০০-এর মতো হয়েছে। কিছুদিন আগেও দরখাস্ত করেছে, এমন হাসপাতালের সংখ্যা ছিল ৩০০-৬০০-এর ঘরে, এখন সেটা ২২০০-এর কিছু বেশি। অধিদফতর আরও জানায়, ঢাকা জেলায় এ পর্যন্ত অনলাইন ডেটাবেজ অনুযায়ী মোট লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ২৪২টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে ৩১টি ব্লাড ব্যাংকসহ মোট হাসপাতাল ৪৩০টি ও বাকি ৮১২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সে হিসাবে ঢাকা জেলার ৬০ শতাংশের বেশি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার লাইসেন্সের আওতায় আছে।  সূত্র : দেশ রূপান্তর

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Maldip

    মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য হাইকমিশনের জরুরি নির্দেশনা

    September 27, 2025
    সানাউল্লাহ

    পক্ষপাতমূলক দুষ্ট নির্বাচনের জন্য ইসি আপনাদের চাপ দেবে না: ইসি সানাউল্লাহ

    September 27, 2025
    খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা

    খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

    September 27, 2025
    সর্বশেষ খবর
    রানার্স আপ

    চীনে আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে রানার্স আপ বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলাররা

    উচ্চশিক্ষার

    উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতিতে যা করবেন

    সোহেল তাজ

    বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন সোহেল তাজ

    Ryder Cup 2025 Standings and Scores Day 2: Team Europe Leads at Bethpage Black

    Miami Marlins rally

    Marlins Surge Past Mets With Big Fifth Inning

    school

    ‘স্কুল’ শব্দের ফুলফর্ম কী? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে ব্যর্থ

    Broadway actor John Christopher Jones

    Broadway Actor John Christopher Jones Dies at 77 After Parkinson’s Battle

    কলমি শাক

    বাড়ির ছাদে খুব সহজেই চাষ করুন কলমি শাক

    Maldip

    মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য হাইকমিশনের জরুরি নির্দেশনা

    Baltimore drivers ranking

    Baltimore Drivers Ranked Among Nation’s Worst for Trucker Aggression

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.