স্পোর্টস ডেস্ক: বড্ড অসময়েই চলে গেলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান ম্যারাডোনা। এরপর প্রয়াত আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তির স্মরণে প্রতিবছর একবার করে ‘ম্যারাডোনা কাপ’ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা ও আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স।
ইতিহাসের প্রথমবার অনুষ্ঠিত সেই ‘ম্যারাডোনা কাপ’ জিততে পারেনি বার্সেলোনা। কাতালানদের হারিয়ে প্রীতি শিরোপাটি ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বোকা জুনিয়র্স। বুধবার রাতে সৌদি আরবের কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয় স্টোডয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টাইব্রেকারে বার্সাকে হারিয়েছে তারা।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে বার্সায় আবারো অভিষেক হয় দানি আলভেসের। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ফিলিপে কুতিনহোর পাসে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন জুটগা ব্লাংক। ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে বোকা জুনিয়র্সকে সমতায় ফেরান এক্সিকুয়েল জেবালোস।
নির্ধারিত সময় পর ম্যাচে সমতায় বিরাজ করায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে জয় পায় বোকা জুনিয়র্স। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয়হীন রইল বার্সেলোনা। প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি ম্যারাডোনা ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্সের হয়ে, ১৯৭৬ সালে। ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দলটির হয়ে মোট ১৬৭ ম্যাচ খেলেছেন। ফুটবল ঈশ্বর পরের বছরই যোগ দেন আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী বোকা জুনিয়র্সে।
১৯৮১-১৯৮২ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার ক্লাবটির হয়ে ম্যারাডোনা খেলেছেন ৪০ ম্যাচ। এ মৌসুমে খেলে দলকে মেট্রোপলিটানো চ্যাম্পিয়নশিপে জেতানোর পাশাপাশি লিবার্তাদোরেস কাপে দলকে জায়গা করে দিয়েছিলেন। ১৯৮২ বিশ্বকাপের পর ৫০ লাখ পাউন্ডের বিনিময়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন ম্যারাডোনা। নীল-মেরুন জার্সি গায়ে ৫৮টি ম্যাচ খেলেছেন ফুটবল ঈশ্বর, জিতেছেন তিনটি শিরোপা। এরপর নাপোলি, সেভিয়া, নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ হয়ে ফের ১৯৯৫ সালে বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন ম্যারাডোনা। দ্বিতীয় দফায় যোগ দিয়ে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ৩০ ম্যাচ খেলেন দলটির হয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।