আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংস করে দেয় মার্কিন নৌবাহিনী। পারস্য উপসাগরে ইরান উপকূলের সমুদ্রসীমায় ঢুকে ‘ভিনসেন্স’ নামের একটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ওই হামলা চালায়। হামলায় বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারান। বিমানটিতে ছিল ৬৬টি শিশু ও ৫৩ জন মহিলা। বিদেশি নাগরিক ছিল ৪৬ জন। ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন সাদ্দাম বাহিনী। ১৯৮৮ সালে মূলত সাদ্দাম বাহিনীকে রক্ষা করতেই ইরানি ওই যাত্রীবাহী বিমানটি ভূপাতিত করা হয়।
ইরানের বন্দর নগরী ‘বন্দর আব্বাস’ থেকে ইরান এয়ারের ৬৫৫ নম্বর ফ্লাইটের মাধ্যমে মাত্র ত্রিশ মিনিটের এক নিয়মিত যাত্রায় দুবাই যাওয়ার জন্য ওই বিমানে আরোহন করেন ২৯৮ জন মানুষ। বিমানটি আকাশে উড়ার কিছু সময় পরই মার্কিন ভিনসেন্সের ক্যাপ্টেন ইরানের ঐ যাত্রীবাহী বিমানের ওপর মিসাইল ছোঁড়ার আদেশ দেন।
ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি আকাশেই বিধ্বস্ত হয়। ইরান এয়ারের বহু মূল্যবান এয়ার বাস এ-৩০০ বিমানটি যখন ধ্বংস হয় তখন তার ভেতরে ৫৩ জন মহিলার কোলে ছিল তাদের শিশু বাচ্চারা।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় ইরান। কিন্তু ওই হামলার বিষয়ে মার্কিন নেতারা কখনও কোনো দুঃখ প্রকাশ তো করেইনি বরং অমানবিক অবস্থান নিয়ে তারা ওই অপরাধের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।
মার্কিন নেতারা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ভুলক্রমে ঘটনাটি ঘটেছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা যাত্রীবাহী বিমানটিকে ভুল করে ইরানের বিমান বাহিনীর এফ-১৪ জঙ্গি বিমান ভেবেছিল।
পরবর্তীতে জানা যায়, মার্কিন যুদ্ধজাহাজের যেই সেনাকে যাত্রীবাহী ইরানি বিমান টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে বলা হয়েছিল সে প্রথমে ওই অমানবিক নির্দেশ শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিল।
জাহাজের সবার কাছেই এটা স্পষ্ট ছিল যে, ইরানি বিমানটি ছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান এবং তাই সে ওই নির্দেশ মানতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তু এরপর যখন তাকে সামরিক আদালতে বিচার করার হুমকি দেয়া হয় তখন সে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নির্দেশ পালন করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।