জুমবাংলা ডেস্ক : মাদক বিক্রি করার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নুরুজ্জামান নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে নিজ বাড়ির একটি রুমে আটকে রেখে নির্মমভাবে নির্যাতন ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা মামলায় মনসুর নামের একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
শনিরার (১৩ জুন) দুপুরে তাকে ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের জাওরানী বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক মনসুর হেলাল ওই এলাকার পেয়ার বকসির ছেলে। গ্রেফতার হওয়া ওই যুবক লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের ছোট ভাই।
মনসুর হেলাল মাদক ও হুন্ডি ব্যবসা করে বিপুল পরিমাণে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন এমন অভিযোগ ওই এলাকার মানুষের।
এদিকে মনসুরের মাদক পরিবহন ও ব্যাবসার কাজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে উল্টো নির্যাতনের শিকার নুরুজ্জামানকে ভারতীয় কয়েকটি ফেনসিডিল দিয়ে মামলার ভয় ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে গত ১৬ মে বিকেলে স্থানীয় জাওরানী বাজার থেকে নুরুজ্জামান নামের ওই যুবককে ফিল্মি স্টাইলে তুলে বাড়িতে নিয়ে রুমে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয়। চেষ্টা করা হয় ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর।
মহির উদ্দিন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মনসুর হেলাল ও ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন নৈতৃত্বে চালানো হয় নির্যাতন এমন দাবি নুরুজ্জামানের।
হাতীবান্ধা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে নুরুজ্জামানে জাওরানী বাজার থেকে তুলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মনজুর হেলাল ও ছেলে জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন। তাকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে একটি রুমে আটকে রেখে নিযার্তন করা হয়। পরে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাও করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
পরে ওই যুবক নিযার্তনের ঘটনায় ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টায় মামলা দায়ের করেন হাতীবান্ধা থানায়। পুলিশ ওই মামলায় মনসুর হেলালকে শনিবার বিকেলে ভেলাগুড়ী বাজার থেকে গ্রেফতার করেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নাজির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক মনসুর হেলালকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।