
রবিবার (২৭ জুন) দুপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দ্বিতীয় আদালতে শরীফ মাহমুদ নামে আরেক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে বিচারক আয়েশা বেগম মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। শরীফ আহমেদ সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন যু্বলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
মামলায় এজহারনামীয় একমাত্র আসামি আলী আজম। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫ থেকে ৬ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয় অবস্থিত। গত বছরের ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ মাহমুদ দৈনন্দিন কাজ শেষ করে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে বাড়ি চলে যান। পরদিন (১২ অক্টোবর) বিকেলে শরীফ তালা খুলে দেখেন কার্যালয়ে থাকা ৪২ ইঞ্চির স্যামস্যাং ব্র্যান্ডের একটি এলইডি টেলিভিশন, একটি পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র, একটি দেড় টনের এসি চুরি হয়েছে। এছাড়াও কার্যালয়ে রক্ষিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও দলিলাদিও খোয়া যায় বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা নিশ্চিত হন যে, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম চোরদের সহায়তায় কার্যালয়ের জিনিসপত্র চুরি করেন।
চুরির ব্যাপারে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম বলেন, ‘আমি ৩ হাজার টাকার মাসিক ভাড়ায় দোকানটিতে ব্যক্তিগত কার্যালয় স্থাপন করি। দলীয় সকল অঙ্গসংগঠনের কাজকর্ম এখানে হতো। শরীফকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলাম। মূলত ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করতেই কার্যালয়টি করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কার্যালয়ের টিভি ও এসি আমার টাকায় কেনা। শরীফ নিজেই এসব মালামাল আমার বাসায় দিয়ে গেছে। এখন আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা মামলা করেছে।’
জেলা আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী দিদারুল আলম জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



