আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কথায় বলে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’। তাই বুঝি নিশ্চিত মৃ’ত্যু থেকে বেঁচে গেল মেয়েশিশুটি। জানা যায়, মাটিতে তিন ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিলো তাকে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ঘটনাটি জেনে যান অন্য এক বাবা। এরপর তিনি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বারেলি এলাকায়।
স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ব্যবসায়ী রীতেশ কুমার সারোহির স্ত্রী। পরদিন সাত মাসের এক প্রি-ম্যাচিওর বেবি জন্ম দেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। জন্মের কয়েক মিনিট পরেই সদ্যজাত শিশুটির মৃ’ত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের মৃ’ত সন্তানকে কবর দিতে গিয়েই বিস্ময়কর ঘটনার মুখোমুখি হন রীতেশ কুমার সিরোহি। মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে মাটির পাত্রে শোয়ানো সদ্যজাত এক কন্যাশিশু। মেয়েটি তখনও বেঁচে আছে, ধুকপুক করছে তার হৃদপিণ্ড। শিশুটিকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাজ্যের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা করান। এরপর সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে তুলোয় করে দুধ খাওয়ান। এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি।
তবে এখন পর্যন্ত তার বাবা-মায়ের কোনো খবর জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ। যদিও ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে তারা। শিশুটির অমানবিক অভিভাবকদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।