জ্বর-সর্দি হলে ভরসা রাখুন কয়েকটি পাতাতেই
লাইফস্টাইল ডেস্ক : তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর সবকিছুই জাঁকিয়ে বসেছে। আর এই ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত ছোট থেকে বড় সকলেই। ভাইরাল জ্বর অধিকাংশ সময়েই বায়ুবাহিত কারণের জন্য হচ্ছে। হাঁচি, কাশি আর শ্বাসের মাধ্যমে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ভাইরাস ছড়ায়।
জ্বর হলে বশিরভাগই প্রথমে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে নেন, তবে সব সময় এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে না। এতে শরীরে নানা রকম প্রভাব পড়ে। আর তাই সবথেকে ভালো যদি ঘরোয়া উপায়ে প্রথমে সেরে ওঠা যায়। জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে। হালকা সহজপাচ্য খাবারের পাশাপাশি ভরসা রাখুন এই কয়েকটি পাতাতেও। যেমন-
তুলসি পাতা- তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিকের গুণ। থাকে ইউজেনল, সিট্রোনেলল, লিনালুলের মত একাধিক উপাদান। তুলসি পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক আর অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যই সর্দি, কাশি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন চায়ের পানিতে তুলসি পাতা দিন আর পার্থক্য দেখুন নিজের চোখেই।
অরিগ্যানো- পাস্তা, পিৎজায় ব্যবহার করা হয় অরিগ্যানো। তবে অরিগ্যানো খুবই শক্তিশালী একটি ভেষজ। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। যা সর্দি, কাশি কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ আর অরিগ্যানো পাতা একসঙ্গে সিদ্ধ করে খান। দিনের মধ্যে দুবার খেলে জ্বর, সর্দি-কাশি কমে।
ধনেপাতা- ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ধনে পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ যা ভাইরাল সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি আর জ্বরের সমস্যায় প্রথমেই সসপ্যানে একগ্লাস পানি নিয়ে তার মধ্যে কিছু ধনেপাতা ফেলে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার দিনের মধ্যে অন্তত কয়েকবার এই পানি ছেঁকে নিয়ে খান। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে।
জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
রাতের ঘুম উড়িয়ে দেবে উল্লুর এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।