জুমবাংলা ডেস্ক : স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মো. তৈয়াবুর রহমান নাজিম (৩৮) নামে এক মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার দরিপদ্মবিলা নিজ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাজিম ওই গ্রামের হাসান কাজীর ছেলে।
তিনি উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের ওমর বিন খাত্তাব (রা.) জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেওয়ান সাদেকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে উপজেলার গোয়ালগ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে মাহমুদা খানমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মো. তৈয়াবুর রহমান নাজিম।
কয়েক বছর সংসার করার পর মনোমালিন্য ও যৌতুকে দাবি পূরণ না করার কারণে স্ত্রী মাহমুদাকে তালাক দেন নাজিম। এরপর নাজিম দ্বিতীয় বিয়ে করে চার বছর সংসার করার পর তাকেও তালাক দেন।
পুনরায় প্রথম স্ত্রী মাহমুদাকে পারিবারিকভাবে শরিয়ত মেনে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে নাজিম যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী মাহমুদাকে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে মাহমুদা তার বাবার বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা এনে নাজিমকে যৌতুক দেন। পুনরায় নাজিম যৌতুক দাবি করলে মাহমুদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বেধড়ক মারপিট ও অমানুষিক নির্যাতন শুরু করা হয়।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে মঙ্গলবার মাহমুদা স্বামীর বিরুদ্ধে কাশিয়ানী থানায় একটি যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযান চালিয়ে নাজিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কাশিয়ানী থানার ওসি মোহাম্মাদ মাসুদ রায়হান জানান, তৈয়াবুর রহমান নাজিমকে আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, মসজিদে বয়ান করার সময় রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ইসলাম ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. তৈয়াবুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি বুলবুল আহম্মেদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।