রঙিন মাছ চাষে সাগরের মাসে আয় ৫০ হাজার
জুমবাংলা ডেস্ক : রঙিন মাছ চাষে অভাবনীয় সাফল্য পান সাগর সরকার। তিনি অনলাইনের মাধ্যমে চাষ পদ্ধতি দেখে এই মাছের চাষ শুরু করেন। তারপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে নিজে সফল হওয়ার পাশাপাশি অন্যদের মাঝেও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। রঙিন মাছের চাষ করে তার মাসিক আয় ৪৫-৫০ হাজার টাকা।
জানা যায়, সাগর সরকার রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। করোনার সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অলস সময় কাটাচ্ছিলেন। তখনই অনলাইনের মাধ্যমে রঙিন মাছের চাষ দেখে নিজেও চাষ করার পরিকল্পনা করেন। মাত্র তিন হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে কিছু ‘অটো ব্রিড’ মাছ দিয়ে চাষ শুরু করেন। প্রথমে এই মাছের বাজারজাত সম্পর্কে বুঝতে না পারলেও বর্তমানে তিনি স্থানীয় চাহিদা মিটেয়ে আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় রঙিন মাছ সরবরাহ করে থাকেন।
সাগর সরকার বলেন, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি চলে যাই। তখন এই সময় কি করবো সেই চিন্তা থেকে অনলাইনে রঙিন মাছের চাষ দেখতে পাই। তারপর পরিকল্পনা করি যে আমিও এর চাষ করবো। প্রথমে ৩ হাজার টাকা নিয়ে ‘অটো ব্রিড’ মাছ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করি। চাষ শুরু করলেও কোথায় বিক্রি করবো তা নিয়ে সঙ্কায় পড়ে যাই। পরিচিত একজন আমার কাছ থেকে মাছ কিনতে আগ্রহী হলে বুঝতে পারি যে স্থানীয় বাজারেও এর চাহিদা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একটা সময় চাহিদা অনুযায়ী মাছ সরবরাহ করতে পারছিলাম না। চাষের পরিধি বড় করার চিন্তা করলে পরিবারের সবাই সমর্থন করেনি। সবাই বলছে যে, ব্যবসা বড় করলে লাভ যেমন বেশি হবে, তেমনি লোকসানও হতে পারে। তবে আমি মনস্থির করেছিলাম যে বড় করবো। তারপর পরিচিত এক বোনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়ে কিছু কইকার্প ও কমেট মাছ নিয়ে এসে কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই অনলাইনে দেখে রেণু উৎপাদন করি। তারপর পরিবারের সবাই সমর্থন দেওয়ায় ৪৫ শতাংশ জমির পুকুরে চাষ শুরু করি। চাষ শুরুর ৫ মাসেই মাছ বিক্রি করে লাভবান হতে পারি।
সাগর আরো বলেন, বর্তমানে আমি ৩টি পুকুর ও ১৮টি হাউস যুক্ত করে ১৫ থেকে ২০ জাতের দেড় লাখ রঙিন মাছের উৎপাদন করছি। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন বাজারের চাহিদা মিটিয়ে মাসে প্রায় ৪৫-৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারছি।
আমাদের দেশে প্রতিবছর জাপান ও থাইল্যান্ড থেকে ২০০ কোটি টাকার রঙিন মাছ আমদানি করা হয়। দেশে এই মাছের উৎপাদন বাড়ানো হলে আর আমদানি করতে হবে না। আমরা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো। আর এতে বেকার যুবকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ বাড়বে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল চাঁদপুরের নাফিস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।