স্পোর্টস ড্কে : ফরম্যাট যাই হোক, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের একটি বিষয় সবসময় থাকে অপরিবর্তিত। সেটি হলো, বল হাতে তরুণ লেগস্পিনার রশিদ খানের স্পিন ভেলকি। প্রতিপক্ষ বা মাঠ, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বা টেস্ট- যাই হোক না কেন- ধারাবাহিকভাবেই ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা বোলার রশিদ খান।
যার প্রমাণ মেলে তিন ফরম্যাটে তার পরিসংখ্যান দেখলেই। টেস্ট ক্রিকেটে মাত্র ৫ ইনিংস বোলিং করে এরই মধ্যে তিনবার শিকার করেছেন ৫ উইকেট, ঝুঁলিতে পুরেছেন সবমিলিয়ে ২০ উইকেট। ওয়ানডে ফরম্যাটে ৬৪ ইনিংসে হাত ঘুরিয়ে ১৩১ এবং কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ৪২ ম্যাচে ৮১ উইকেট শিকার করে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ এরই মধ্যে দিয়েছেন রশিদ।
এতটা সেরা বোলিং কীভাবে সম্ভব? প্রতিটি ফরম্যাটে সমান তালে পারফর্ম করে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজের বোলিংয়ে কী কী পরিবর্তন এনে থাকেন রশিদ?- জানতে চাওয়া হলো তারই কাছে। বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়া ফাইনাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে আফগান অধিনায়ক শোনালেন ক্রিকেটের গভীর জ্ঞানসমৃদ্ধ কথা।
ফরম্যাটভেদে নিজের বোলিং পরিবর্তন না করে, সঠিক লাইন-লেন্থ ও নিজের শক্তিমত্তার পূর্ণ ব্যবহারেই সাফল্য নিহিত বলে জানান রশিদ। আর এই শিক্ষাটি তিনি পেয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি স্পিনার শেন ওয়ার্ন এবং মুত্তিয়া মুরালিধরনের কাছ থেকে। যা তিনি কাজে লাগান প্রতিটি ফরম্যাটেই।
নিজের বোলিং নিয়ে জানাতে গিয়ে রশিদ বলেন, ‘আমি কখনো নিজের বোলিংয়ে খুব বেশি কাটাঁছেড়া করতে পছন্দ করি না। সবসময় চেষ্টা করি যেন নিজের সামর্থ্যের মধ্যে সবটুকু উজাড় করে দিতে পারি যেন। ফরম্যাট যাই হোক, আমি সবসময় চেষ্টা করি একইভাবে বোলিং করে যেতে। আমার বোলিংয়ের ধরণটাই এমন যে, আমি যদি বোলিংয়ে কিছু পরিবর্তন আনি, তাহলে সেটা আমার পুরো পারফরম্যান্সেই প্রভাব ফেলবে।’
মাত্র তিনটি টেস্ট খেললেও, এ ফরম্যাটের ধাঁচটা যেন খুব সহজেই ধরে ফেলেছেন আফগান অধিনায়ক। তাই তো টেস্টের বোলিং সম্পর্কে বলে যান, ‘টেস্ট ম্যাচের সময় আমার মাথায় একটা বিষয় ছিল যে, এমনও সময় আসতে পারে যে আমি হয়তো ২৫ ওভারেও কোনো উইকেট পাচ্ছি না। আবার এমনও হতে পারে যে এক ওভারে ২-৩ উইকেট পেয়ে গেলাম। তো এ জিনিসটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে, আমি যেনো নিজের ওপর বেশি চাপ নিয়ে না ফেলি যে ২০-২৫ ওভারে কেনো কোনো উইকেট পেলাম না।’
কথার ধারাবাহিকতায় মুরালিধরন ও শেন ওয়ার্নের দেয়া শিক্ষা-পরামর্শের বিষয়ে উল্লেখ করে রশিদ বলেন, ‘আমি মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং শেন ওয়ার্নের সঙ্গেও একই বিষয়ে কথা বলেছি। তারা দুজনই বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা স্পিনার। তারা দুজনই আমাকে অভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে। বলেছে যে নিজেকে কখনও পরিবর্তন না করি যেনো। আমি যেমন, ঠিক তেমনই করি যেন। সব পরিস্থিতিতেই শান্ত এবং গোছানো বোলিংয়ের পরামর্শই দিয়েছেন তারা। বোলিংয়ের গতি পরিবর্তন বা ভ্যারিয়েশনের চেষ্টা না করে, সঠিক লাইন ও লেন্থে বল ফেলার দিকেই বেশি মনোযোগের কথা বলেছেন তারা। আমিও মনে করি বোলিংয়ের ক্ষেত্রে এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।