জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীতে পৃথক পৃথক সমাবেশ ও বিক্ষোভের কারণে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, শাহবাগ,পান্থপথ, সিদ্ধেশ্বরী, বাড্ডা ও মিরপুরে বিভিন্ন দাবিতে অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়ক গুলোতে। সড়ক গুলোতে থেমে থেমে চলছে গাড়ি। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে গতানুগতিক সময়ের থেকে অনেক বেশি সময় লাগছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক সমাবেশ ও র্যালি।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ি থেকে র্যালি করে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধীস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। এছাড়া দলটির পক্ষ থেকে বাড্ডা ও খিলক্ষেত এলাকায় র্যালি করা হয়েছে। যার কারণে ওই অঞ্চল গুলোতে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে।
পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের দোকান মালিকরা মার্কেটের ইনচার্জ মোহসিনুল করিমের অপসারণের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে।
গতকালের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে ছাত্রীরা। তারা সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তিনগর মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
মতিঝিল জোন ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান: বাংলামোটর, কাকরাইল মগবাজার এলাকায় গাড়ির চাপ বেশি। এছাড়া ভিআইপি মুভমেন্টের ছিল। যার কারণে এ এলাকাতে যানবাহন খুবই ধীরগতিতে চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান জানিয়েছেন: অনেকেই নানা দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমরা “যমুনার” সামনে কাউতে বসতে দিইনি। তাই নগরের বিভিন্ন স্থানে আজ খণ্ড খণ্ড আকারে বসে আছেন অনেকেই। শাহবাগ বা রমনার দিকে রাস্তায় বসে গেলে যানজট বেড়ে যায় আশপাশের সড়কেও। আজও তেমনটাই হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে র্যাডিসন হোটেল থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজট থাকায় উত্তরা বা এয়ারপোর্টগামী যাত্রীদেরকে অতিরিক্ত সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর সংলগ্ন বলাকার সামনে বলাকার সামনে একটি একটি কভার্ড ভ্যান বিকল হয়ে পড়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট যানজট ৩০০ ফুট রাস্তা এবং কুড়িলসহ আশেপাশের এলাকাতে ছড়িয়ে পড়ে। বিকল হওয়া গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ায় এখন যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে।
রবিবার থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরোপুরিভাবে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সড়কে নেমে এসেছেন নানা পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এরমধ্যে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই সহসাই কাটছে না এ যানজটের দুর্ভোগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।