জুমবাংলা ডেস্ক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যা মামলায় লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তার মা। সোমবার রায় হবে শুনে কক্সবাজার আদালতে ছুটে যান লিয়াকতের পরিবার। তবে তার পরিবারে কেউ এ রায়ের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। লিয়াকতের মা রোকেয়া বেগমকে (৮০) সান্তনা দেন প্রতিবেশীরা। রায়ের পর লিয়াকতের বাড়িতে ভিড় জমায় গ্রামবাসী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিয়াকত চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম সাহাব মিয়া। সিনহাকাণ্ডের কিছুদিন আগে মারা গেছেন তিনি। সিনহা হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি ছিলেন ইনসপেক্টর লিয়াকত।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার আদালত সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত এই মামলায় লিয়াকত এবং বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের ফাঁসির আদেশ দেন। একই মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন এবং ৭ জনকে মুক্তি দেন আদালত।
আদালতের এ রায় শোনার পর লিয়াকতের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা তাকে সান্তনা দেন। এক পর্যায়ে রোকেয়া বেগম নির্বাক হয়ে পড়েন।
জানা যায়, লিয়াকতরা ছয় ভাই ও এক বোন। এরমধ্যে লিয়াকত সবার ছোট। ২০১০ সালে তিনি পুলিশে যোগদান করেন। প্রথমে ডিবি, পরে সোয়াত ও অ্যান্টি টেরিরিজম টিমে কাজ করেন। এরপর পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর টেকনাফ থানার অধীনে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে যোগদান করেন।
ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, সিনহা হত্যার রায় শুনতে লিয়াকতের পরিবারের সদস্যরা কক্সবাজারে চলে যান। রায়ে লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ গণমাধ্যমে প্রচার হলে তার মা রোকেয়া বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রতিবেশীরা ‘উচ্চ আদালতে আপিল করলে আপনার ছেলে ন্যায় বিচার পাবে’ বলে সান্তনা দেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদারের কাছে লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে পটিয়ায় কোনো প্রতিক্রিয়া আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনার রায়ে পটিয়ায় এ পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।