জুমবাংলা ডেস্ক : পূর্ব ইউরোপের বাংলাদেশিদের নতুন শ্রমবাজার রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মলডোবা। এখানকার ইমারত নির্মান, জাহাজ শিল্প, কৃষিকাজ, কলকারখানা, গার্মেন্টস, বেবি সিটিং ও রেস্তোরাঁয় শ্রমিক হিসেবে গত দুই বছরে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে এসেছে।
আরও বিশ হাজার আসার অপেক্ষায়। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি রয়েছে নারীরাও। এসেছে তিন শতের মতো ছাত্র, যারা এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে। তবে দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, দেশটিতে দশ হাজার শ্রমিক এলেও তার মধ্যে মাত্র হাজার দুয়েক শ্রমিক আছে রোমানিয়ায়; বাকিরা অবৈধপথে ইতালি, ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন ও জার্মানি চলে গিয়েছেন।
যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ হারাতে পারে এই শ্রমবাজারটি। তাই রাষ্ট্রদূত অনুরোধ করেছেন যাতে এভাবে অবৈধভাবে কেউ না যায় অন্য দেশে।
গত সপ্তাহে এভাবে অবৈধভাবে মালবাহী ট্রাকে যেতে গিয়ে আটক হয়েছে ১৬ বাংলাদেশি, যাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, শীঘ্রই রোমানিয়া ইসিভুক্ত হবে, তাই এভাবে অবৈধপথে যাওয়া বোকামি। শ্রমিক সরবরাহকারী সংস্থার মারিয়া ক্রিসটিনা, পিটার লুপু, আবদুর রহমানও একই রকম মন্তব্য করেন।
তবে অবৈধপথে অন্য দেশে যাবার কারণ- বেতন কম, সময়মতো বেতন না পাওয়া, ওভারটাইমের বেতন না পাওয়া, শ্রমিক রপ্তানিকারক অনেক সংস্থার চুক্তি মোতাবেক কাজ না পাওয়াই কারন। কেউ কেউ বলছেন- রোমানিয়া আসেই উন্নত ইউরোপে যাওয়ার জন্য। আর এই যাওয়া বন্ধ না করতে পারলে বাংলাদেশ হারাবে এই শ্রমবাজার।
এইটি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশে শ্রমিক আসার আগে একটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে যে, সে পালালে তার পরিবারবর্গের জবাবদিহিতা থাকবে। আর রোমানিয়া তার ভৌগোলিক সীমা রক্ষার জন্য যে বিশেষ ইলেকট্রনিকস ডিভাইস বসিয়েছে, সেই ডিভাইসের মাধ্যমে বাহির থেকেই দেখা যাবে গাড়ি বা ট্রাকের ভেতরে কী আছে!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।