চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়। এরই মধ্যে সেটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মা জানালেন, তিনি দ্রাবিড়কে থাকতে অনুরোধ করেছিলেন অনেকবার। কোচ রাজি হননি। দ্রাবিড় বিদায় নিতে চলায় বেশ আবেগপ্রবণ ভারতের অধিনায়ক।
রোহিত বলছেন, ‘আমি তাকে (দ্রাবিড়) থেকে যাওয়ার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলাম। তবে তারও অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোর খেয়াল রাখতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে সময়টা উপভোগ করেছি। আমি নিশ্চিত, বাকিরাও একই কথা বলবে। দারুণ লেগেছে তার সঙ্গে কাজ করে।’ দ্রাবিড়কে কোনো বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হবে কি না, সে প্রসঙ্গে রোহিতের উত্তর, ‘এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
২০০৭ সালে দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বেই অভিষেক হয়েছিল রোহিতের। সে কথা স্মরণে আছে ভারত অধিনায়কেরও। বলছেন, ‘আয়ারল্যান্ডে অভিষেক হওয়ার সময় উনি আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম অধিনায়ক। তারপর টেস্ট দলে আসার সময় তাকে নিজের চোখে খেলতে দেখেছি। আমাদের সবার কাছে আদর্শ উনি।’
রোহিতের সংযোজন, ‘বড় হওয়ার সময় তার খেলা দেখেছি। জেনেছি, উনি ব্যক্তিগতভাবে কী কী অর্জন করেছেন। দলে কতটা অবদান রয়েছে তার, সেটাও অজানা ছিল না। কঠিন পরিস্থিতিতে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করাই তার আসল বৈশিষ্ট্য ছিল।’
রোহিত-দ্রাবিড় জমানায় ভারত কোনো ট্রফি জেতেনি। কিন্তু কোচ হিসেবে দ্রাবিড়ের অবদানের কথা ভুললেন না রোহিত। বলেছেন, ‘গোটা ক্যারিয়ারেই তার দায়বদ্ধতা মনে রাখার মতো। কোচ হয়ে আসার পর আমি সেটাই শিখতে চেয়েছিলাম। বেশ ভালোভাবেই পেরেছি। বিশ্বকাপের রুপা ছাড়া আমরা বেশিরভাগ বড় প্রতিযোগিতা এবং সিরিজ জিতেছি। তার সঙ্গে কাজ করার প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি। দলকে কোন দিকে নিয়ে যাওয়া উচিত সেটা ঠিক করেছি।’
রোহিতের সংযোজন, ‘আমাদের মতামত উনি সহজেই মেনে নিয়েছেন। এটাই বড় পার্থক্য। সবার আগে উনিই এগিয়ে এসে বলতেন, ‘দলের এটা করা দরকার’। উনি আসার পর যেখানেই খেলেছি, নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।