জুমবাংলা ডেস্ক : শতভাগ সততা, দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে নৌ-খাত তথা দেশ পুনর্গঠনে সচেষ্ট থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
রবিবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটির প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন। মতবিনিময়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রমের ওপর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন। গত ২৭ আগস্ট নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ প্রথম সরজমিনে পরিদর্শন করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি তার বক্তব্যের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরাগভাজন হয়েছিলেন।
নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, অনেক কথার মধ্যে অনেক কথা চলে আসে। যদি আমি এমন কোনো কথা বলে থাকি, সেটা ভুল বুঝেছেন, সেটার জন্য আমি দুঃখিত। পরে তাকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার। তিনি ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক হন। ইসলামাবাদের কায়েদ-ই-আজম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি, কাবুল থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৭২ সালে দেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, বরিশালে। তিনি ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দুই বছর পাকিস্তানের বন্দিশিবিরে কাটিয়ে ১৯৭৩ সালে দেশে ফেরেন। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ৪৬ ব্রিগেডে স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন ১৯৭৯-৮১ সালে ঢাকায় সেনা সদরে গুরুত্বপূর্ণ পদে অপারেশন ডিরেক্টরেট নিয়োজিত হন। পরে তিনি ব্রিগেডের অধিনায়ক হিসেবে দুটি ইনফেনট্রি ব্রিগেড ও একটি আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিখ্যাত ইউএসএ কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ জেনারেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে গ্র্যাজুয়েশন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।