স্পোর্টস ডেস্ক: কিছুটা হলেও সিরি-আ লিগের শিরোপা স্বপ্ন টিকে ছিল জুভেন্টাসের সামনে। কিন্তু রেলিগেশন খরায় থাকা জেনোয়ার কাছে শুক্রবার ২-১ গোলের হতাশাজনক পরাজয়ে সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে তুরিনের জায়ান্টদের। স্টপেজ টাইমে ডোমেনিকো ক্রিসিটোর পেনাল্টিতে মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দলের পরাজয় নিশ্চিত হয়।
ইতোমধ্যেই অবশ্য সিরি-আ লিগের শীর্ষ চারে টিকে থেকে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জায়গা ধরে রাখা নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস। গতরাতে পরাজয় সত্বেও ৩৬ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানেই তারা টিকে থাকলো। মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র দুই ম্যাচ বাকি রয়েছে। ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ইন্টার মিলানকে আর তাদের পক্ষে ধরা সম্ভব নয়।
নিজেদের শেষ ২২ ম্যাচে জুভেন্টাস শুক্রবার দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পায়। প্রথমার্ধে জেনোয়ার পোস্টে মাত্র একটি ভাল শট করতে পেরেছিল জুভেন্টাসের স্ট্রাইকাররা।
ম্যাচ শেষে আলেগ্রি বলেছেন, ‘এই পরাজয়ে আমরা ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এক সময় জেনোয়া বেশ বিপদে পড়েছিল। কিন্তু আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করতে পারিনি। কাউন্টার এ্যাটাকে গেলে সেই আক্রমনটা শেষ করে আসা উচিত ছিল। বিশেষ করে এক গোলে এগিয়ে থাকার পরেও প্রতিপক্ষের উপর আমরা চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। আজ আমরা ৯২ মিনিটে পরাজিত হয়েছি, এটাই ফুটবল।’
ম্যাচের আট মিনিটেই সফরকারী জুভেন্টাস গোলের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ফরোয়ার্ড মোয়েস কিনের হেড অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। বিরতির ঠিক আগে পাওলো দিবালা ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন। তার শট সহজেই রুখে দেন গোলরক্ষক সালভাতোরে সিরিগু।
আর্জেন্টাইন এই তারকার গোলেই শেষ পর্যন্ত বিরতির তিন মিনিট পর ডেডলক ভাঙ্গে জুভেন্টাসের। তার লো শটে অবশেষে জুভেন্টাসের অপেক্ষার অবসান হয়, ডাগ আউটে স্বস্তি ফিরে আসে। এই গোলের মাধ্যমে সাবেক স্ট্রাইকার রবার্তো ব্যাজিওর সাথে জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে ১১৫ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন দিবালা। ৭০ মিনিটে দিবালার দুর্দান্ত স্ট্রাইকটি পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে গেলে ব্যবধান দ্বিগুন করা হয়নি। ম্যাচ শেষের তিন মিনিট আগে নাদিয়েম আমিরির পাস থেকে উইঙ্গার আলবার্ট গুডমানসন জেনোয়াকে সিরি-আ লিগে টিকে থাকার আশা জাগিয়ে তুলেন। নয় মিনিট পর গোলরক্ষক ওজিচেচ সিজিসনিকে কোন সুযোগ না দিয়ে স্পট কিক থেকে ক্রিসিটো গোল করলে জেনোয়ার জয় নিশ্চিত হয়। এই জয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেনোয়া। সেফটি জোন থেকে তারা আর মাত্র এক পয়েন্ট দুরে রয়েছে, হাতে রয়েছে দুটি ম্যাচ। আগামী ১৫ মে তৃতীয় স্থানে থাকা নাপোলি সফরে যাবার পর শেষ ম্যাচে বোলোনিয়াকে আতিথ্য দিবে জেনোয়া।
দুর্দান্ত এই জয়ে স্বাগতিক দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। তারা বেশ ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে যে মৌসুমের এই সময়ে এসে জুভেন্টাসের মত দলকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট অর্জন করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বুধবার কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে ইন্টার মিলানের মোকাবেলা করবে জুভেন্টাস।
এদিকে দিনের শুরুতে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লটারো মার্টিনেজের দুই গোলে ঘরের মাঠে এম্পোলিকে ৪-২ গোলে পরাজিত করেছে ইন্টার মিলান। এই জয়ে এসি মিলানকে এক পয়েন্টের ব্যবধানে পিছনে ফেলে আবারো টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্টার। রোববার নবম স্থানে থাকা ভেরোনাকে হারাতে পারলে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করবে এসি মিলান। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।