ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সেলিম হোসেন (৪৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে উপজেলা সুবিতপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টু শিশুটির বিশেষ অঙ্গে হাত দিয়ে অভিনব পরীক্ষা করে বলে দেন তেমন কোনো আলামত নেই। এদিকে অভিযোগ ওঠায় ধর্ষক সেলিমকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আটক সেলিম হোসেন উপজেলার সুবিতপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ অভিযোগে সেলিম হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুকে পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ৬ বছরের একটি কন্যা শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার সকালে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জোটের নেতা, সাংস্কৃতিক কর্মী, জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার সভাপতি শান্ত জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তার লাল্টু, মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান দিপ্তী রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিয় মজুমদার অপু, নির্বাহী সদস্য এম এ সালাম, শাহীনুর আলম লিটন, জেলা নাট্য সমন্বয় পরিষদের সভাপতি রুবেল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক তারেক হোসেন পল্লব, উই’র নির্বাহী পরিচালক শরিফা আক্তার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার কালীগঞ্জের সুবিতপুর গ্রামে সেলিম হোসেন ওই শিশুকে পাশবিক নির্যাতন করে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টুকে জানালে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টু শিশুটির বিশেষ অঙ্গে হাত দিয়ে অভিনব পরীক্ষা করে বলে দেন তেমন কোনো আলামত নেই। এদিকে অভিযোগ ওঠায় ধর্ষক সেলিমকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেলিম হোসেন ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাকারী চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টুর শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।