লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতকালে শুধু সর্দি-কাশির সমস্যাই হয় না। এর থেকেও বিরক্তিকর হচ্ছে চোখের সমস্যা। শীত শুরু হতেই অনেকের চোখ শুষ্ক হওয়া, জ্বালাভাব, চুলকানি ও চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা দেখা যায়। যা খুব সাধারণ এবং অনেকে এ সমস্যার শিকার হয়ে থাকেন।
চোখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। চোখের ছোট ছোট সমস্যা অবহেলা করলে তা থেকে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একবার চোখ নষ্ট হলে তা স্বাভাবিক করা খুবই কষ্টসাধ্য। অনেক সময় অন্ধত্বও বরণ করতে হয়। শীতকালে চোখের সাধারণ কিছু সমস্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আই সেন্টার অব টেক্সাস। এবার তাহলে এসব ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
শুকনো চোখ: শীতের বাতাস প্রায় অন্য সব ঋতুর বাতাসের থেকে কিছুটা বেশি শুষ্ক থাকে। অঞ্চল ভেদে তা কম-বেশিও হতে পারে। আর শীতের বাতাস বেশি শুষ্ক হওয়ায় অল্পতেই চোখ শুকিয়ে যায়। যা চোখকে আরও খারাপ করে তোলে।
এ অবস্থায় চোখে ঘামাচি, কর্নিয়ার আলসার ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে। এ জন্য চোখ শুষ্ক হওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে নিজেকে হাইড্রেট রাখা, হিউমিডিফায়ার ব্যবহার না করা এবং সরাসরি গরম বাতাসের সংস্পর্শে না আসা উত্তম উপায়।
চোখ লাল হওয়া ও চুলকানি: শুষ্ক বাতাস বা তুষার ঝড়, যে কোনো কারণেই হোক না কেন, বেশি ঠান্ডা বাতাস চোখের ক্ষেত্রে খুবই সংবেদনশীল। ঠান্ডা বাতাস থেকে চোখ শুষ্ক হওয়া ছাড়াও চুলকানির সমস্যা হয়। যদি দেখেন চোখ লাল ও চুলকানির সমস্যা, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওভার দ্য কাউন্টার হাইড্রেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। আবার চোখের ভেতর চুলকানি হলে অ্যালার্জিজনিত ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
চোখ জ্বালাপোড়া ও ক্লান্তি: চোখে যদি সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি পড়ে তাহলে সেই তাপ থেকেও চোখের সমস্যা হতে পারে। এ থেকে চোখ জ্বালাপোড়া, চোখের ক্লান্তি ও ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আবার চোখে বেশি সূর্যের তাপ লাগলে তা থেকে চোখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, কর্নিয়ার ক্ষতি বা দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য শীতেও খুব বেশি সূর্যের তাপের সংস্পর্শে না থাকার কথা বলা হয়।
পরামর্শ: শীতে সাধারণত চোখের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ময়লাযুক্ত হাত নাক-মুখ-চোখ থেকে দূরে থাকুন। শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গে হাত লাগানোর আগে অবশ্যই তা জীবাণুমুক্ত করে নেয়া উচিত। বাইরে বের হলে চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারের অভ্যাস থাকলেও সানগ্লাস ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে প্রয়োজনের বেশি ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে ড্রপ ব্যবহার করুন। আর যেকোনো সমস্যা জটিল আকারে রূপ নেয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।