জুমবাংলা ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিত্ত বৈভবের প্রতি কোনো মোহ নেই। প্রধানমন্ত্রীর একটাই মোহ দেশের সকল পিছিয়েপড়া মানুষের জন্য কাজ করা, দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা বিনির্মাণ করা। খবর : ইউএনবি’র।
শনিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার সীমানা পেরিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব রাজনীতিতে একজন প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয় রাষ্ট্রনায়ক। তিনি আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ট ট্রাম্প, ভারতের নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবেকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রীকেও একইভাবে মূল্যায়ন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলা হলো। ভিডিও চিত্রটি যদি দেখেন তাহলে বুঝবেন স্বয়ং আল্লাহ রাববুল আলামিন নিজে হাতে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করেছেন। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী যাতে দেশের মানুষকে আরো বেশি সেবা দিতে পারেন সেই জন্য উনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আল্লাহ নিজেই।
দেশের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যেক পরিবারে একটা করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ২০২৭ সালে বাংলাদেশে বিশ্বের মধ্যে ২৬তম অর্থনীতির দেশ হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারে একজন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, দারিদ্রতা শূন্যের কোঠায় নেমে আসার ক্ষেত্রে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এ সময় মালয়েশিয়া-অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
নিজের শিক্ষা জীবনের সস্মৃতিচারণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার জীবনের গল্প আপনাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হবে। বেতন না দিতে পারার কারণে স্কুলে আমার তিন বার নাম কাটা গেছে। গ্রামের মানুষ আমার বেতন দিয়েছেন। এসএসসি ফর্ম ফিলাপের টাকা ছিলনা, শেষদিন আমার এলাকার একজন আমাকে টাকা দেন। আমি লজিংয়ে থেকে লেখাপড়া করেছি, আমি টিউশনি করেছি। তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি টিউশনি ও লজিংয়ে থেকে লেখাপড়া করে অর্থমন্ত্রী হতে পারলে তোমরা কেন পারবে না, তোমরা আরো বড় বড় দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োতিজ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।