জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এরপর ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সেই ভিডিও ভাইরাল হলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে সেখানে নির্যাতিতা গৃহবধূ বা তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনের ওই ঘটনা ঘটে।
রবিবার দুপুরের পর থেকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে।
ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানায়, খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ রবিববার বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করে। আটক আবদুর রহিম (২৭) একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাড়িধন বাড়ির বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। তাই এ ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে। বর্তমানে নির্যাতিত ওই পরিবারের ঘরে তালা ঝুলছে, তারা কোথায় তা কেউ জানেন না।
তারা কোথায় জানতে চাইলে এলাকাবাসী মুখ খুলছেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্তরা সবাই কিশোর গ্যাং দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য। এরা একলাস পুর ডাবল মার্ডার ও পলাশ হত্যা মামলার আসামি। তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বেগমগঞ্জ দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের মাদক ব্যবসা। এদের রয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশ বর্তমানে ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের ঘরে তালা ঝুলছে, ওই গৃহবধূকে তার বসত ঘরে পাওয়া যায়নি। ভিকটিমকে পাওয়া গেলে জানা যাবে এটি ধর্ষণ না নির্যাতনের ঘটনা।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং নির্যাতিতা পরিবারকে উদ্ধারে জেলা পুলিশের পাঁচ ইউনিট মাঠে কাজ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।