 জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে রাজনীতিতে সংলাপ, গোলটেবিল এবং আলোচনা ভালো বিষয়। কিন্তু সংলাপের টেবিলে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি।’
জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে রাজনীতিতে সংলাপ, গোলটেবিল এবং আলোচনা ভালো বিষয়। কিন্তু সংলাপের টেবিলে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বিশ্বসেরা রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উত্থান এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ঈর্ষণীয় সাফল্য তা সংলাপের টেবিলে বসে অর্জিত হয়নি। জঙ্গীবাদ- সন্ত্রাসবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিহত করে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সংলাপের টেবিলে বসে সাধিত হয়নি।’
আজ (৮ জুলাই) জয়পুরহাট-২ নির্বাচনী এলাকায় ১০টি গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হুইপ স্বপন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকের বিশ্ব বাস্তবতায় প্রতিটি রাষ্ট্র একযোগে সুন্দর পৃথিবী প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করা আবশ্যক। কিন্তু কোনো স্বাধীন, সার্বভৌম এবং শান্তিকামী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতিরিক্ত নাক গলানো উপনিবেশবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। অসৌজন্যমূলক ও কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার বহির্ভূত আচরণ আক্রান্ত রাষ্ট্রটির সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা হানি করে।’
হুইপ স্বপন বলেন, ‘মানবাধিকারের ছবক দেওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে আমাদের জাতির পিতা, নারী ও শিশুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফেরত দিতে বলুন। যুক্তরাজ্যেকে ৭১-এর নরঘাতক যুদ্ধাপরাধী এবং গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জন বাংলাদেশের নাগরিক হত্যাকারী, এফবিআই কর্তৃক স্বীকৃত দুর্নীতিবাজকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে বলুন। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে সখ্যতা বর্জন করুন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। গভীরে প্রবেশ করে পর্যালোচনা করতে হবে। চায়নার সঙ্গে আপনাদের স্নায়ুযুদ্ধের অংশীদার আমরা নই। আপনারা জানেন কি না, চায়না আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী গণহত্যাকারীদের সহায়তা করেছে, ১৯৭৫ সালে আমাদের জাতির পিতার নৃশংস হত্যার পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। এরপরও আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অহিংস পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে চায়নার সঙ্গে কেবলমাত্র অবকাঠামো উন্নয়নগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছি। চায়নার ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই।’
স্থানীয় এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘রপ্তানির কাঁচামালের জন্য আমাদের চায়নার প্রতি নির্ভরতা ক্রমশ কমে আনছি। আমাদের দেশীয় নির্মাণ কোম্পানীগুলোর অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কর্পোরেট কোম্পানীতে উন্নীত হচ্ছে। অবকাঠামো নির্মাণে অল্পদিনের মধ্যেই আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হব, তখন আমাদের অন্য রাষ্ট্রের প্রতি নির্ভরতা কমে আসবে।’
উদ্বোধন, দোয়া মাহফিল এবং মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম আকন্দ, জয়পুরহাট জেলা চেম্বার সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আহসান কবীর এবলব, পৌর মেয়র শহীদুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজা সুলতানা মলি, মজিবর রহমান, আতিকুর রহমান মিঠু, বেলাল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, আব্দুর রশিদ চেয়ারম্যান, সজল চেয়ারম্যান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।

 

