জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। যার কান্ড বা ডগা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এটি পুষ্টিকর সবজি এবং বেশ সুস্বাদু। শাপলা কয়েক রকমের হয়ে থাকে। তবে সাদা ও লাল শাপলাই চোখে পড়ে বেশি। শহর-নগরে এটা তেমন দেখা না গেলেও গ্রামাঞ্চলের বিল-ঝিলে হরহামেশাই চোখে পড়ে। আলাদাভাবে এটা চাষ করা লাগে না। এমনিতেই জলাশয়, বিল বা ঝিলের পানিতে জন্মে- ফুল ফোটে। গ্রামের বাজারগুলোতে প্রতি আঁটি (৪/৫টা দিয়ে বাঁধা) শাপলা ১০/১৫ টাকা করে বিক্রি হয়ে থাকে।
শাপলা ফুল বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করছে শতশত গরীব অসহায় মানুষ গুলো। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলা, নবাবগঞ্জ উপজেলা ও দোহার উপজেলা, সাভার খাল- বিল, নদী-নালা ডোবা গুলোতে লক্ষ লক্ষ শাপলা রাতে চাঁদের আলো জ্বলজ্বল করছে, ভোরবেলা সূর্য উদয়ের সাথে সাথে শাপলা তুলতে ছোট ছোট কুষা নৌকা নিয়ে খালে- বিলে শাপলা তুলতে দেখা যায় শত-শত নারী-পুরুষ ও তাঁদের সন্তানেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শাপলা ফুল তুলে ছোট ছোট আটি বেধে হাট বাজারে নিয়ে পাইকারি খুচরা বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের সংসারের অভাব দূর করেছে। শাপলা ফুলের মাধ্যমে অন্যান্য সবজি চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়েছে। চিংড়ি মাছ ও ইলিশ মাছের শাপলার সবজির মজা স্বাদ গ্রহনই আলাদা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের লাল শাপলার বিল পিপাসা মেটাচ্ছে প্রকৃতি প্রেমীদের।
রাজধানীর কাছাকাছি হওয়ায় নগর জীবনকে কিছুটা স্বস্তি দিতে হাপিয়ে ওঠা মানুষ প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। হেমন্তের প্রকৃতি আরও মোহনীয় করে তুলেছে লাল শাপলার লাবণ্য। এ যেন বাংলা মায়ের আঁচলে জীবন্ত হয়ে ওঠা নকশি কাঁথার রঙিন মাঠ। দিগন্ত জুড়ে ফুটে আছে লাল শাপলা। সবুজ আর লালে তাই ভোরের জলজ গানে উড়াল দেয় পাখি ও মানুষের মন। শাপলার লাবণ্য ছুতেঁ জলের সাথে মিতালী দর্শনার্থীদের। শুধু লাল শাপলা আর পদ্মই না, এই বিল মুখরিত হয় পাখির গুঞ্জরনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।