জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ধেয়ে আসার খবরে বলেশ্বর নদী তীরের মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার ইফতারের পরপরই মানুষ নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার জন্য সাইক্লোন শেল্টারে যেতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা আবহাওয়ার সতর্কবার্তা প্রচারের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে সহযোগিতা করছে।
রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার সাউথখালীতে সাইক্লোন শেল্টারে আনুমানিক দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ১০৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ২৩টি বিদ্যালয় ভবন সংযুক্ত করা হয়েছে। উপজেলার মোট ১৩০টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিস, সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সমন্বয়ে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক এবং ১৪টি প্রাথমিক চিকিৎসক দল প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিতদের প্রাথমিক খাদ্য সহায়তার জন্য দুই মেট্রিকটন শুকনা খাবর মজুদ রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার পানি ও করোনা স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এদিকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে থানা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সর্বশেষ পরিস্থিতি, ঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতি এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, গণমাধ্যমকর্মী ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের সাথে শরণখোলায় জরুরি মতবিনিময় সভা করেছেন।
সভায় ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন, ওসি এসকে আবদুল্লাহ আল সাইদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, শ্রমিক লীগের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন খোকন, ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, মোরেলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. তাজিনুর রহমান পলাশ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রনজিত সরকার ও কৃষকলীগের সভাপতি ওয়াদুদ আকন প্রমুখ এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
উপজেলা কন্ট্রোল রুম থেকে জানায়, প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ নারী ও শিশুদের নিয়ে বলেশ্বর নদতীরবর্তী সাউথখালী ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বগী, দক্ষিণ সাউথখালী, তাফালবাড়ী, চাল রায়েন্দা এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। এছাড়া, রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর, জিলবুনিয়া, রায়েন্দা বাজার পূর্বমাথা, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর, পূর্ব খোন্তাকাটা এবং ধানসাগর ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর ও পশ্চিম রাজাপুর এলাকার সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে অল্প সংখ্যক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে গেছেন। সব মিলিয়ে উপজেলার আনুমানিক ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।