জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে আপন ফুপার বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভাতিজীকে অ’পহরণের পর আ’টকে রেখে ধ’র্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। অপহরণের তিন মাস ১৪ দিন পর গত সোমবার (২৯) জুলাই মেয়েটিকে উদ্ধার ও ধ’র্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা লাল ভানু বাদী হয়ে সখীপুর থানায় ধ’র্ষক পল্লয় খান ওরফে মানিককে (২৫) একমাত্র আসামি করে অপহরণ ও ধ’র্ষণ মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত মানিককে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল সকাল ৯টায় স্থানীয় জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে তারই আপন ফুপা নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার গোহালকান্দা গ্রামের মৃ’ত সোবহান খানের ছেলে পল্লয় খান ওরফে মানিক খান মেয়েটিকে জো’রপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা লাল ভানু সখীপুর থানায় ডায়েরি করলে তিন মাস ১৪ দিন পর ২৯ জুলাই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নেত্রকোনা থেকে অপহৃতা মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী মানিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মেয়েটি মানিকের বিরুদ্ধে জো’রপূর্বক অপহরণ ও ধ’র্ষণের অভিযোগ আনে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওমর ফারুক বলেন, অপহরণকারী মানিক সম্পর্কে মেয়েটির আপন ফুপা। সে ওই বাড়িতে থেকেই পার্শ্ববর্তী একটি বাজারে ইলেকট্রিকের যন্ত্রাংশ মেরামতের কাজ করত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন এবং গ্রেফতারকৃত মানিককে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।