হাসান তনা কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি: সিসি ক্যামেরার নজরদারীতে ১৪৭ পূজা মন্ডপ। হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা সুশৃংখল ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনে সিসি ক্যামেরার আওতায় নেয়া হয়েছে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার এসকল পূজা মন্ডপগুলো। আর মন্ডপে মন্ডপে এসব সিসি ক্যামেরা প্রদান করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইল।
অন্যদিকে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে মন্ডপগুলোতে আনছার বাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবেন। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে ৯টি ইউনিয়নে ৬টি মোবাইল ও ১ টি স্টাইকিং মোবাইল টিম সার্বক্ষনিক মনিটরিংও করবে বলে অফিসার ইনচার্জ রাজীব কুমার রায় জানিয়েছেন। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এ বছর হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার মন্ডপ হয়েছে ১৪৭টি। উৎসবকে ঘিরে সকল পূজা মন্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটি, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকগণের সাথে উপজেলা প্রশাসন মতবিনিময় সভা করেছে। এছাড়াও উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশও করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট সরকারের ঘোষণার বাস্তবায়নে উপজেলার প্রতিটি মন্ডপে নিজ উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ঘোষণা দেন এবং তিনি পূজার উৎসব শুরুর আগের দিনেই তা বাস্তবায়ন করেছেন। এ উদ্যোগে তিনি প্রশংসাও ভাসছেন বলে অনেকে জানান। এ বছর উপজেলায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১২টি, গুরুত্বপূর্ণ ১২ টি ও সাধারণ ১২৩ টি পূজা মন্ডপে বিভক্ত করা হয়েছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপ গুলোতে ৮ জন, গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপগুলোতে ৬ জন ও সাধারণ মন্ডপগুলোতে ৪ জন করে আনছার সদস্য সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায়। এছাড়া উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তরফ থেকে সার্বক্ষনিক মন্ডপগুলো মনিটরিংও করা হবে বলে ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায় জানান- সিসি ক্যামেরার নজরদারী ছাড়াও আনছার বাহিনীর সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক টিমের পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল ও স্টাইকিং মোবাইল টিম সার্বক্ষনিক টহলে থাকবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন- অধিকতর নিরাপত্তা ও শান্তিপ্রিয়ভাবে উৎসবটি উৎসবমূখর পরিবেশে পালন হয় সেজন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে প্রতিটি মন্ডবে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিংও করা হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট জানান- সরকারীভাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। সরকারের এ ঘোষণাটি আমি কিশোরগঞ্জে বাস্তবায়ন করেছি। তাই প্রতিটি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা প্রদান করা হয়েছে। এ উপজেলায় আগেও সম্প্রীতির বন্ধনে শারদীয় দূর্গা পূজা উৎসবমূখর পরিবেশে হয়েছে, এবছরও হবে এবং আগামীতে হবে সে প্রত্যাশা আমার রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।