আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আর সুদানের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আব্দাল্লা হ্যামডক। ছয় সপ্তাহ আগে তিনি ক্ষমতা ফিরে পেয়েছিলেন। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
গত অক্টোবরে সুদানে সেনা অভ্যুত্থান হয়। তারপর ক্ষমতাচ্যূত হন হ্যামডক। ছয় সপ্তাহ আগে আবার তিনি ক্ষমতা ফিরে পান। কিন্তু তারপর তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা দিলেন।
হ্যামডক বলেছেন, ‘’আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই। আমি চাই, নতুন কেউ এই দায়িত্ব নিন।’
এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাদের দাবি ছিল, সরকারের উপর সেনার হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
কেন ইস্তফা?
সুদান যখন আবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরানোর চেষ্টা করছে, তখনই ইস্তফা ঘোষণা করলেন হ্য়ামডক। তিনি চেয়েছিলেন, ক্ষমতা হস্তান্তর মসৃন করতে একটা গোলটেবিল বৈঠক হোক।
হ্যামডক বলেছেন, ”দেশ যাতে বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে, সেজন্য আমি সব ধরণের চেষ্টা করেছি। রাজনৈতিক দলগুলি এক হতে পারছে না। সেনা ও সরকারের মধ্যে বিরোধ লেগেই আছে। মতৈক্যে পৌঁছনোর জন্য সব ধরণের চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি।”
হ্যামডক জানিয়েছেন, ”সুদান এক সংকট সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখন সুদানের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।”
সুদানের পরিস্থিতি
হ্যামডকের সিদ্ধান্ত সুদানকে আরো অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিলো। তিন বছর আগে সেই সময়ের শাসকের বিরুদ্ধে জন-অভ্যুত্থান হয়। তারপর সেনার সঙ্গে চুক্তি করে হ্যামডক ক্ষমতায় আসেন। তার আগে তিনি জাতিসংঘে অর্থনীতিবিদ হিসাবে কাজ করেছেন।
গত ২৫ অক্টোবর সুদানে সেনা অভ্যুত্থান হয়। নভেম্বরে আবার ক্ষমতা ফিরে পান হ্য়ামডক। কিন্তু তারপর থেকে বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সেনা তাদের অভ্যুত্থানকে স্বীকৃতি দিতেই হ্যামডককে আবার প্রধানমন্ত্রী করেছে। সেনা ও পুলিশ কড়াহাতে বিক্ষোভের মোকাবিলা করতে চাইছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।