জুমবাংলা ডেস্ক : মাংস কেনার সময় যাথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করায় সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৩ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির সদস্য মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তবে মাংসের স্যাম্পল কালেকশনের সুযোগ না পাওয়ায় মাংস সম্পর্কে জানার সুযোগ নেই জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, তবে মাংস ক্রয়ের রশিদ না থাকায় সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হবে।
এরই মধ্যে সুলতান’স ডাইনকে খাবারে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেয়ার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর। এ বিষয়ে তাদের কোনো মতামত নেই বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরের পর থেকে ফেসবুকে সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানির মাংস নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। আর অভিযোগটি তুলেছেন কনক রহমান খান নামের এক ভোক্তা।
কনক রহমান খান স্ট্যাটাসে লেখেন, গত বৃহস্পতিবার তিনি সুলতান’স ডাইন থেকে ৭টি কাচ্চি এনেছিলেন। খাবার সময় মাংসের হাড় দেখে সন্দেহ হয় তার। মাটন (খাসির মাংস) বলা হলেও তিনি অভিযোগ করে লেখেন, মাটনের হাড় এমন চিকন হয় না।
এরপর দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, এই ঘটনার পর সুলতান’স ডাইনের গুলশান ২ এর নম্বরে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করেন এটা কিসের মাংস ছিল? পরে তারা ২জন লোকসহ আবার খাবার পাঠায়। ওনাদের এজিএম আশরাফও আসেন নতুন খাবারের সঙ্গে।
তিনি লেখেন, আগের প্যাকের খাবারের হাড়ের সঙ্গে এবারের মাংসের তুলনা করতে বললে এজিএম আশরাফ মানতেই নারাজ হয়ে বলেন, জেনেশুনে এমন মাংস দেয় না।
তারা বলে, তাদেরকে যে ভেন্ডর মাংস দেয়, তারা আসলে কোন কিছু করতে পারে।
এরপর এজিএমকে প্রশ্ন করা হয়- তাহলে ভেন্ডরের কাছ থেকে মাংস নেয়ার সময় কি আপনাদের মত এত বড় ব্রান্ডের কোনো কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার নেই?
আপনি কি ২টা মাংস সেইম দেখতে পাচ্ছেন প্রশ্ন করলে ওনারা উল্টা প্রশ্নকরে তাহলে আপনারা কি দিয়ে মিটাতে চান? ইন্ডিরেক্টলী টাকা অফার করে এবং বলে আপনারা ঝামেলা করলে আমরাও জানি কি করতে হয়।
এরপর ৯৯৯ এ কল দেন ওই ভোক্তা। ৯৯৯ থেকে বলে বিএসটিআই এর নম্বরে অভিযোগ করতে।
এ বিষয়ে গুলশান-২ সুলতান’স ডাইন শাখার মার্কেটিং কমিউনিকেশন অফিসার ববি রানি দাস গণমাধ্যমকে জানান, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। সুলতান’স ডাইন অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। এক ক্রেতা বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানির যে অভিযোগ করেছেন, তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পুরো অভিযোগটাই ভিত্তিহীন।
ওই ক্রেতার পরিচয় আমরা জানি না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে উনি খাবার নেওয়ার দুই ঘণ্টা পর অভিযোগ করেন বলে জানান তিনি। ওই গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, এগুলো কিসের মাংস দিয়েছেন, বিড়ালের মাংসের বিরিয়ানি। আমরা বলেছি, এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।