জুমবাংলা ডেস্ক : সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট আধুনিকায়ন হয়েছে। নতুন নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা, আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি সংযোজনসহ ও উন্নয়ন কল্যাণমুখী কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। রেজিমেন্টের প্রত্যেক সদস্যকে পেশাদার ও প্রশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা বদ্ধপরিকর।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী সেনানিবাসের শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমি আশা করব, সেনা সদস্যরা দেশের প্রয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং প্রয়োজনে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে।
এর আগে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এর মধ্য দিয়ে সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করলেন তিনি।
এদিন সেনাপ্রধান সকালে রাজশাহী সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে তাকে প্রচলিত সামরিক রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে অভিবাদন জানানো হয় এবং একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেন। এরপর সেনাবাহিনীর প্রধানকে ‘কর্নেল র্যাঙ্ক ব্যাজ’ পরিয়ে দেয়া হয়।
এরপর সেনাবাহিনী প্রধান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান ১৯তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে বক্তব্য দেন এবং এই রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশ-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রমের বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তিনি আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে রেজিমেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সেনাসদর, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আরও অনেকে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.