আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একটি মাধ্যমিক স্কুলে ১৫ বছর বয়সি এক ছাত্রের গুলিতে তার তিন সহপাঠী নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। আহতদের মধ্যে একজন শিক্ষকও রয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত তিনজনই ওই স্কুলের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন ১৬ বছরের কিশোর। এ ছাড়া নিহত অপর দুজন মেয়ে শিক্ষার্থী এবং তাদের বয়স যথাক্রমে ১৪ ও ১৭ বছর।
ওকল্যান্ড কাউন্টির আন্ডার শেরিফ মাইক ম্যাককেব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেছেন, মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে পাঁচ মিনিটের ওই বন্দুক হামলার ঘটনায় তিন ছাত্র প্রাণ হারিয়েছেন। এতে একজন শিক্ষকসহ আহত হয়েছেন মোট আটজন। ১৫ বছর বয়সী সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থাতে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ম্যাককেব আরও বলেন, সম্পূর্ণ ঘটনাটি মাত্র পাঁচ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। অস্ত্রটি একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ডগান ছিল। হামলায় প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪ ও ১৭ বছর বয়সী দুই নারী এবং ১৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ রয়েছেন। আর আহতদের মধ্যে দুজনের শরীরে মঙ্গলবার বিকালে অস্ত্রোপচার হয়েছে। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা জানা যায়নি।
তিনি জানিয়েছেন, অন্য ছয়জনের অবস্থা স্থিতিশীল। আহতরা তিনটি হাসপাতালে রয়েছে; ম্যাকলারেন লাপিয়ার রিজিওন কমিউনিটি মেডিকেল সেন্টার, পন্টিয়াকের ম্যাকলারেন ওকল্যান্ড এবং পন্টিয়াকের সেন্ট জোসেফ মার্সি ওকল্যান্ড। নিহতদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি, তবে অক্সফোর্ড হাইতে আহতদের মধ্যে একজন শিক্ষকও রয়েছেন।
ম্যাককেব বলেন, এবার প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গুলি চালানো হয়েছিল। শুটার একাই ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সময় স্কুলটিতে প্রায় এক হাজার আটশ জন শিক্ষার্থী ছিল। স্কুল ভবনের দক্ষিণ প্রান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেছেন, ডেপুটিরা হামলাকারীর মুখোমুখি হয়েছিল, তার কাছে অস্ত্র ছিল এবং ডেপুটিরা তাকে হেফাজতে নিয়েছে। তারা (ছাত্ররা) লক্ষ্যবস্তু ছিল কি-না আমরা জানি না। আমরা যখন এই তদন্তে আরও এগিয়ে যাব তখন আমরা এর তলানিতে যাব।
ম্যাককেবের ভাষায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি কীভাবে ভিতরে বন্দুকটি নিয়েছিল, আমরা জানি, তবে আমি এখনই তা বলতে চাচ্ছি না। সন্দেহভাজন ব্যক্তি এরই মধ্যে তার কথা না বলার অধিকার দাবি করেছে; সে একজন অ্যাটর্নি চায়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিটিকে পন্টিয়াকের চিলড্রেনস ভিলেজে রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।