স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেছেন স্ত্রী ইসরাত জাহান। পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে মামলা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে স্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে আল-আমিন জানিয়েছেন, মারধরের প্রশ্নই ওঠে না। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ক্রিকেটারের দাবি, তারা ভালো আছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরাত জাহান দুই সন্তান নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। আল-আমিনকে তখন মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার আগে জানা যায়, মিরপুরে সস্ত্রীক হাজির হয়ে নিজেদের মীমাংসার কথা গণমাধ্যমে জানাবেন আল-আমিন। এজন্য মিরপুর স্টেডিয়ামে গণমাধ্যম কর্মীরা অপেক্ষায়ও ছিল। কিন্তু একটি গণমাধ্যমকে আল-আমিন মুঠোফোনে জানান, তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে। থানায় গিয়ে অভিযোগ করার মতো কিছু হয়নি।
স্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে আল-আমিন সরাসরি বলেছেন, ‘মারধর করার তো প্রশ্নই ওঠে না। একসঙ্গে থাকলে তো কত কিছু নিয়েই মনোমালিন্য হয়। ও আমার কাছে দাবি করেছিল যে ওর নামে ফ্ল্যাট লিখে দিতে হবে। আমি এতে রাজি হইনি। এটা থেকেই রাগারাগি হয়েছে। তবে থানায় যাওয়ার মতো কিছু হয়নি। আমার ধারণা, প্রতিবেশি মহিলারা আর আশেপাশের লোকজন ফুঁসলিয়ে ওকে থানায় যেতে বলেছে।’
সন্তানদের থানায় নিয়ে অভিযোগ করায় আল-আমিন নিজেও বিস্মিত। এছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে এবং যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি কোনো দ্বিতীয় বিয়ে করিনি। সব ভুল বোঝাবুঝি। বান্ধবী থাকলেই কি বিয়ে নাকি? আর যৌতুক চাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। তদন্ত কর্মকর্তা এলেই সব প্রমাণ হবে। আর আমাদের মধ্যেও দ্রুতই সব ঠিক হয়ে যাবে। দেখবেন, দু-একদিনের মধ্যে ও নিজেই বলবে যে সব ঠিক আছে, আমরা ভালো আছি।’
প্রসঙ্গত, নারীঘটিত কারণে এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিসিবি আল-আমিনকে শাস্তি দিয়েছিল। বিপিএল চলাকালীন হোটেল রুমে নারী অতিথি নিয়ে যাওয়ায় তার শাস্তি হয়েছিল। এছাড়া নানা সময়ে মাঠে অশোভন আচরণের কারণে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ ক্রিকেটারকে শাস্তিও পেতে হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।