জুমবাংলা ডেস্ক : শারীরিক অসুস্থতায় প্রবাসী ইসমাইল হোসেন দেশে আসেন মাস তিনেক আগে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দুই কিডনি বিকল হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়লে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কিডনি জোগাড় করে প্রতিস্থাপনের সামর্থ্য না থাকায় দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। এরই মধ্যে আশার আলো হয়ে দেখা দেন স্ত্রী সাইমা আক্তার।
স্ত্রী সাইমার দেওয়া কিডনিতে নতুন জীবন পেলেন স্বামী ইসমাইল। ঢাকার শ্যামলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত স্বামী-স্ত্রী এখন মোটামুটি ভালো আছেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর এমন বিরল ভালোবাসার বিষয়টি এখন সবার মুখে মুখে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মো. ধন মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন। আখাউড়া পৌর এলাকার দুর্গাপুরের জমির উদ্দিনের মেয়ে সাইমার সঙ্গে তার বিয়ে হয় প্রায় ১২ বছর আগে। ইসমাইল ও সাইমার পরিবারে রয়েছে দুই সন্তান। প্রবাসী ইসমাইল তিন বছর যাবৎ বেশ অসুস্থ। এ অবস্থায় মাস তিনেক আগে তিনি দেশে এসে চিকিৎসা শুরু করলে কিডনি বিকল হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
ইসমাইলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী রাহেলা বেগম বলেন, ‘বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ চলে। স্বামী-স্ত্রী দুজনই এখন ভালো আছেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর এমন ভালোবাসার ঘটনা একেবারেই বিরল।’
সাইমা আক্তারে মা আছিয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মেয়ে যেটা করেছে সেটাতে বেশ ভালো লাগছে। স্বামীকে কিডনি দেওয়ার জন্য আমরাও তাকে উৎসাহ দিই। স্বামীর যেকোনো বিপদে প্রত্যেক স্ত্রীকে এভাবেই পাশে থাকা উচিত।’
স্বামীকে কিডনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পেরে বেশ খুশির কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন সাইমা আক্তার। পরিবারের লোকজনকে তিনি বলেছিলেন, ‘একটি কিডনির কারণে যদি আমার স্বামী মরে যায় তাহলে আমি কী নিয়ে বাঁচব? আমার দুই সন্তান রয়েছে। সব দিক চিন্তা করে আমি স্বেচ্ছায় কিডনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তবে আমার স্বামী কখনো আমাকে কিডনি দেওয়ার কথা বলেনি।’
সাইমা আক্তারের স্বজনরা জানান, এখনো তাঁকে ভারী খাবার দেওয়া হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।