জুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ৯ নং দেওটি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার হোসেনকে মারধর করে ডোবায় ফেলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন-চারজন অনুসারী আহত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার ৯ নম্বর দেওটি ইউনিয়নের দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার ৯ নম্বর দেওটি ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
দেউটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চলমান ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদার হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি বেলা ১১টার দিকে দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। কেন্দ্র থেকে বাহির হওয়ার কিছুক্ষণ পর নৌকার সমর্থক কিং মোজাম্মেলের লোকজন তাঁর ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তারা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা দুই কর্মী তাদের হামলার শিকার হন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, এ ছাড়াও কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে নৌকার সমর্থকরা তাঁকে বাধা দেয়।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে দেওটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন শাকিল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘দিদার মাটিতে পড়ে গায়ে কাদা মেখে নাটক করেছে। উল্টো দিদারের সমর্থকদের হামলায় আমার ২০-২২ জন অনুসারী আহত হয়। আমার কোনো সমর্থক তার ওপর হামলা চালায়নি।’
সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এমন কোনো অভিযোগ পায়নি। তার পরও লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেওটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দিদার হোসেনকে নাজেহাল করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান। তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।