জুমবাংলা ডেস্ক: গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন ও দেলদুয়ারে শ্রমিক, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে স্কুলছাত্রী, ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও বরগুনার আমতলীতে দুই বৃদ্ধ, ঠাকুরগাঁওয়ে আহত দম্পতি ও পৃথক দুর্ঘটনায় ১ জন এবং বগুড়ার নন্দীগ্রামে পরিবহন ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
মির্জাপুর ও দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসচাপায় নিহতরা হলেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর (৪০), তার স্ত্রী তাসলিমা (৩০) ও রিকশাচালক শরবেস আলী (৩০)। দুর্ঘটনায় ওই দম্পতির শিশুপুত্র বিজয় (১০) গুরুতর আহত হয়। রোববার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়কের মির্জাপুর উপজেলার কদিম দেওহাটা নামক স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে।
ছেলে বিজয়কে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশায় ওই দম্পতি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস রিকশাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তাসলিমা নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর অন্য দু’জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া দেলদুয়ারে শনিবার রাতে যাত্রীবাহী বাসকে সাইট দিতে গিয়ে ট্রাক খাদে পড়ে সোহরাব (৫০) নামে এক শ্রমিক নিহত হন। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড় কাঞ্চনপুর গ্রামের ফতুরউদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট): মোরেলগঞ্জে ব্যাটারিচালিত ভ্যানচাপায় নিহত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর নাম সাতুল ইসলাম সৃষ্টি (১১)। সে উপজেলার গোয়ালবাড়ীয়া গ্রামের রসুল হাওলাদারের মেয়ে ও ১১৩নং উত্তর সুতালড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। রোববার পরীক্ষা দিতে স্কুলে যাওয়ার সময় বারইখালী-তেঁতুলবাড়ীয়া সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয় মেয়েটি।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): কেরানীগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত বৃদ্ধ ফরাজ উদ্দিন (৬০) রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে তিনি খোলামোড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে খোলামোড়া ক্যাপ্টেন স্কুলের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
আমতলী (বরগুনা): আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ি স্ট্যান্ডে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত বৃদ্ধের নাম রহমান আলী (৬৭)। তার বাড়ি গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামে। তিনি চাচাতো ভাইকে নিয়ে বয়স্কভাতা আনতে আমতলী অগ্রণী ব্যাংকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন।
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে শুক্রবার দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, দবিরুল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০)। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২। এছাড়া রোববার অপর দুর্ঘটনায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী লক্ষ্মী রায় (২৪) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার দোলুয়া গ্রামে।
বগুড়া: নন্দীগ্রামে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত পরিবহন ব্যবসায়ীর নাম হায়দার আলী প্রামাণিক (৪০)। তিনি পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুরিয়া ট্রাফিক মোড় এলাকার আহাদ প্রামাণিকের ছেলে। রোববার সকালে ইসলামপুর এলাকায় নিজ ট্রাকের টায়ার ফেটে গেলে ট্রাকটি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপর ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে চালকের পাশে থাকা ট্রাক মালিক হায়দার আলী প্রামাণিক ঘটনাস্থলে নিহত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।