জুমবাংলা ডেস্ক : মালিক-শ্রমিকদের চাপের মুখে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ আইনের বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধনের উদ্যোগের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি বলছে, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের অযৌক্তিক দাবিদাওয়া ও চাপে সরকার যদি নতি স্বীকার করে, তা হবে আদালত অবমাননা ও জনস্বার্থ পরিপন্থী হবে।
শনিবার টিআইবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগের কথা জানায় সংস্থাটি।
গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই কলেজশিক্ষার্থী নিহত হন। সেদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তড়িঘড়ি করে পাস করা হয় সড়ক পরিবহন আইন। এরপর আইনটির বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। এতে আইনটি কার্যকরের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়।
সরকার আইনটি কার্যকরের গেজেট প্রকাশ না করলেও সড়ক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি কমিটি করেছে। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনেরও কার্যকরী সভাপতি। কমিটি ১১১ দফা সুপারিশের খসড়াও চূড়ান্ত করেছে। যদিও এসব সুপারিশের অধিকাংশই পুরোনো। বিভিন্ন সময় সরকারসহ নানা সংগঠন থেকে সুপারিশগুলো করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদের কমিটির বৈঠকে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন আইন ভঙ্গের জন্য সাজার মেয়াদ কমানোর দাবিটি সরাসরি সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আইনের সব ধারা জামিনযোগ্য করাসহ অর্থদণ্ড কমানো ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করার দাবি ন্যায়বিচারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া অধিকাংশ দাবি সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় সুশাসন, ন্যায়বিচার, জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার বিরোধী।’
প্রধানমন্ত্রীর ছয় নির্দেশনার আলোকে ‘সড়ক পরিবহন-২০১৮’ আইনটির যথাযথ বাস্তবায়নে শিগগিরই এর বিধিমালা তৈরির আহ্বান জানায় টিআইবি।
এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর এই সংক্রান্ত আইনের সঙ্গে তুলনামূলক পর্যালোচনা ও সামঞ্জস্যের যুক্তি উল্লেখ করা হলেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপে প্রভাবিত হয়েই যে আইনটিকে দুর্বল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তা সহজেই বোধগম্য।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।