এরকম অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যাদের অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সমস্যা রয়েছে। কোন কিছু লিখতে গেলে তাদের হাত বা খাতা ভিজে যায় এরকম পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। শীতের সময় তারা ঘামতে থাকেন। এটি বিষন্নতা বা অস্বস্তির মত পরিবেশ তৈরি করে। কেন এরকম হয়ে থাকে সে বিষয়টি আলোচনা করা হবে।
মেডিকেলের ভাষায় অতিরিক্ত ঘাম হওয়াকে বলাই হাইপারহাইড্রোসিস। এটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে জেনারেল এবং অপরটি হচ্ছে লোকালাইজড। পুরো শরীরে হলে সেটাকে বলা হয় জেনারেল হাইপার হাইড্রোসিস। ডাক্তার যদি অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কোন কারো খুঁজে না পান তখন তাকে বলা হয় প্রাইমারি হাইপার হাইড্রোসিস।
প্রাইমারি হাইপার হাইড্রোসিস হওয়ার পেছনে পরিবার বা বংশগত কারণ হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্য এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে। সেকেন্ডারি হাইপার হাইড্রোসিস হওয়ার পেছনে থাইরয়েডের সমস্যা বা ডায়রিয়ার সমস্যা থাকতে পারে।
এক্ষেত্রে কিছু মেডিকেল কন্ডিশন বোঝার জন্য টেস্ট করা হয়ে থাকে। তবে যাদের ডায়াবেটিকস আছে এবং ব্ল্যাক সুগার কমে যায় তাদের অতিরিক্ত ঘামার প্রবণতা রয়েছে। মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
ঘামের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় বিধায় ফ্লুইড মেইনটেইনের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বিষন্নতা বা অস্বস্তি কমাতে হবে। এটির কারণেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। সুনির্দিষ্ট মেডিকেল কন্ডিশন থাকলে তার চিকিৎসা নিতে হবে।
রোগী যেন অতিরিক্ত ঘাবড়ে না যান বা দুশ্চিন্তা না করেন সেজন্য তাকে বোঝাতে হবে। অনেক সময় যারা সুস্থ মানুষ তাদেরও অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এটি কোন বড় রোগ নয়। এটি বজায় রেখেও পরিপূর্ণ সুস্থতার সাথে জীবন নির্বাহ করা সম্ভব। যাদের অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের ডাক্তারের সাথে কথা বলে উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে একজন স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।