স্পোর্টস ডেস্ক: তারুণ্যের পরীক্ষায় ফেল করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ১৭ রানে হেরেছে নুরুল হাসানের দল।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। স্পিনারদের জন্য ছিল না সুবিধা। বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে নামলেও তারা রান চেক দিতে পারেননি। ওয়েলসি মেধেভেরে এবং সিকান্দার রাজার তাণ্ডবে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তোলে। টি-২০ ফরম্যাটে যা দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
ওই রান তাড়া করতে নেমে উত্থান-পতন দেখেছে বাংলাদেশ। তবে ১৮তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচের লাগাম ছাড়েনি সফরকারীরা। তারুণ্যের বিজয় কেতন উড়ানোর দায়িত্ব পাওয়া নুরুল হাসান সোহান এক প্রান্ত দিয়ে হাল ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ দুই ওভারে চাপ সামলে রান তুলতে পারেননি তারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলতে পারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান।
ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে ভালো শুরু করেনি। ওপেনার রেগিস চাকাভা ৮ রান করে ফিরে যান। অন্য ওপেনার ক্রেগ আরভিন করেন ১৮ বলে ২১ রান। চারে নেমে শন উইলিয়ামস ১৯ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রানের কার্যকরি ইনিংস খেলে যান। ওই মোমেন্টাম নিয়ে সিকান্দার রাজা ঝড় তোলেন। তিনি ২৬ বলে সাতটি চার ও চারটি ছক্কায় ৬৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। হার না মানা ইনিংস সাজান ২৫০ স্ট্রাইক রেটে। তিনে নামা ওয়েলসি মেধেভেরে খেলেন ৪৬ বলে নয়টি চার ৬৭ রানের ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে (৪) হারায় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের তিন ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন তিনি। তবে লিটন দাস তিনে নামা এনামুলকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আশা দেন। লিটন ১৯ বলে ছয়টি চারে ৩২ রান করে অদ্ভূত রান আউট হন। প্রতিপক্ষ তার ক্যাচ ফেলে দেয় কিন্তু তিনি রানের জন্য না ছুঁটে নিজের পায়ে কুড়াল মারেন। এটাই ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে দেয়। এরপরই সেট হয়ে ২৭ বলে ২৬ রান করে ফিরে যান এনামুল।
আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১০ রান। চারে নামা নাজমুল শান্ত এবং অধিনায়ক সোহান জুটি গড়ে আশা দিচ্ছেলেন। কিন্তু শান্ত যেন মেজাজ হারান। সুবিধা করতে না পেরে ২৫ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৭ করে আউট হন তিনি। নুরুল খেলেন ২৬ বলে চারটি ছক্কা ও এক চারে ৪৬ রানের হার না মানা ইনিংস। তার সঙ্গে থাকা মোসাদ্দেক (১০ বলে ১৩) ব্যাট তুলে খেলতে পারলে ফল ভিন্ন হতে পারতো। ফল ভিন্ন হতে পারতো সোহান ১৯তম ওভারে (মাত্র ৪ রান) কিছু রান তুলতে পারলে।
বল হাতে এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের পেসাররা খুবই এলোমেলো ছিলেন। শুরুর দুই ওভারে দারুণ বোলিং করে ২ উইকেট তুলে নেওয়া মুস্তাফিজ ৪ ওভারে খরচ করেন ক্যারিয়ারের যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৫০ রান। শেষ দুই ওভারে খুবই বাজে ছিলেন তিনি। অন্য দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ৪ ওভারে যথাক্রমে ৪২ ও ৪৫ রান দেন। নিয়মিত স্পিনার নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ রোববার বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায় শুরু হবে।
ম্যাচ শেষে তরুণ টি-২০ দলের নেতৃত্বভার পাওয়া নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘১০-১৫ রান কম হলে এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক ম্যাচ হতে পারতো। আগামী ম্যাচে কিছু ওভার ভালো করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। উইকেট খুবই ভালো ছিল। যে রানটা ছিল আশা করেছিলাম তাড়া করতে পারবো। সামনের ম্যাচে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।