স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে পর্তুগাল। ম্যাচ শেষে অশ্রুসজল চোখে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ার পর এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
কাতার বিশ্বকাপটা রোনালদোর জন্য দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপ হলেও এখানেই প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার ইতিহাস গড়েন তিনি। মরক্কোর বিপক্ষে খেলতে নেমে ছুঁয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ (১৯৬) খেলার কীর্তিও।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রোনালদো লেখেন, পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন। সৌভাগ্যবশত আমি পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিরোপা জিতেছি। কিন্ত আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল দেশের নাম বিশ্বের সর্বোচ্চ জায়গায় লেখানো। আমি এর জন্য লড়াই করেছি। এই স্বপ্নের জন্য কঠোর সংগ্রাম করেছি।
তিনি আরও যোগ করেন, ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে আমি ৫টি বিশ্বকাপে গোল করেছি। সবসময় বিখ্যাত খেলোয়াড়দের পাশে থেকে এবং লক্ষ লক্ষ পর্তুগিজদের সমর্থনে আমি আমার সবটুকু দিয়েছি। আমি কখনই লড়াই থেকে মুখ ফেরাইনি এবং আমি কখনই স্বপ্ন দেখা থামাইনি। দুঃখজনকভাবে গতকাল সেই স্বপ্নের ইতি ঘটেছে।
রোনালদো তার স্ট্যাটাসে লিখেন, এটা প্রতিক্রিয়া নয়, আমি শুধু আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই যে অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক কিছু লেখা হয়েছে, অনেক অনুমান করা হয়েছে, কিন্তু পর্তুগালের প্রতি আমার আত্মনিবেদন এক মুহূর্তের জন্যও কমেনি। আমি একই উদ্দেশ্যের জন্য সবসময় লড়াই করে গেছি এবং কখনই আমার সতীর্থদের দেশের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব না।
বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতার এবং নিজ দেশ পর্তুগালকে ধন্যবাদ জানিয়ে রোনালদো লেখেন, আপাতত বেশি কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ পর্তুগাল। ধন্যবাদ কাতার। স্বপ্নটি ভালো ছিল যতক্ষণ এটি বেঁচে ছিল, এখন আশা করছি সময়ই সবচেয়ে ভালো পরামর্শক এবং সবাইকে বলে দেয় কখন ইতি টানতে হবে।
রোনালদোর আবেগময় সেই স্ট্যাটাসে কমেন্ট করেন ফুটবল সম্রাট পেলে। ৮২ বছর বছর বয়সী ব্রাজিল ফুটবল কিংবদন্তি রোনালদোকে বন্ধু আখ্যা দিয়ে লেখেন, ‘আমাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ধন্যবাদ, আমার বন্ধু।’
মেসির কথাবার্তা ‘ভীষণ’ অপমানজনক ছিল, বিস্ফোরক মন্তব্য নেদারল্যান্ডস ফুটবলারের
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.