জুমবাংলা ডেস্ক : জার্মানিতে তৈরি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জের একটি গাড়ি নিলামে তুলেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। নিলামে তোলা এ গাড়িটির দাম হাঁকা হয়েছিল ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকা। বিপরীতে গাড়িটির সর্ব্বোচ্চ দর উঠেছে চার কোটি এক লাখ টাকা। চার জন বিডারের মধ্যে বিলাসবহুল এ গাড়িটির সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়েছে যমুনা শিপ ব্রেকারস।
এ ছাড়া নিলামে পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকা দামের ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ১২ জন বিডারের মধ্যে এ গাড়িটি পেতে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়েছে হ্যারি ফ্যাশন লিমিটেড।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এ নিলামে মার্সিডিজ বেঞ্জ ও ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িসহ ৪৫ লটের পণ্য রাখা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, নিলামে বিভিন্ন ধরনের নিটেড, ওভেন, নন ওভেন, পলিয়েস্টার, ডায়েড, কটন, রেয়ন, ডেনিম ফেব্রিকস, লেডিস সু সোল, সিরামিকের ফুলদানি, ক্র্যাফট কার্টন, পিভিসি শিট, পার্টস অব অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম, ডাইসোডিয়াম সালফেট, পুরোনো কম্বল, কাপড়, ইঞ্জিন অয়েল, টাইলস, সিকিউরিটি ট্যাগসহ ৪৬ লটের পণ্য রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ফেব্ররিকের লটটি নিলাম শেষ হওয়ার আগেই স্থগিত করা হয়।
সূত্র জানায়, মার্সিডিজ বেঞ্জটি ঢাকার বারিধারার গাড়ি বিপণনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানি করা। আর ল্যান্ড ক্রুজারটি আমদানি করেছিলেন প্রয়াত সংসদ সদস্য আলী আশরাফ। কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক এ সংসদ সদস্য ২০২১ সালের ৩০ জুলাই মারা যান। সে সময় সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আলী আশরাফের নামে শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িটি আমদানি করা হলেও তার মৃত্যুর পর সেটা আর খালাস নেওয়া হয়নি।
সূত্র মতে, এবারের নিলামে তোলা ৪৫ লট পণ্য রাখা আছে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ২ হাজার ৭৬৮টি কনটেইনারে ৪৪ হাজার ২৮৮ টন, ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩ হাজার ১৭০টি কন্টেইনারে ৬৩ হাজার ৪০০ টন। আমদানিকারকেরা পণ্যগুলো খালাস না করায় দীর্ঘদিন ধরে কনটেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়ে আছে।
এ ছাড়া ৩ হাজার ৩৯০ টন ওজনের ৭০ হাজার ৩৯০ প্যাকেজ এলসিএল কার্গো এবং ৫ হাজার ৪৫০ টন ওজনের ৬ হাজার ৮৪৬ প্যাকেজ খোলা (বাল্ক) পণ্য নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা আগামী নিলামে তোলা হতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ২৭ জন দরদাতা অংশ নেন। এবারের নিলামে সবার আকর্ষণ ছিলে দু’টি বিলাসবহুল গাড়ি। এ ছাড়াও আমরা আরও ৪৪টি পণ্য নিলামে তুলেছি। আমরা নিলামকে আরও গতিশীল করার জন্য নতুন কমিশনার স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। পণ্যগুলো বিডাররা নিয়ে গেলে আমরা রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি বন্দরে পড়ে থাকা কনটেইনারগুলোও খালি করতে পারব।-সারাবাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।