আপনি একটি বিমানে করে কোথাও যাচ্ছেন। যদি আপনি কিছুক্ষণ পরে জানতে পারেন যে, আপনার এ ফ্লাইটটি অর্ধ শতাব্দী ধরে চলছে তাহলে বেশ অবাক হবেন। ২ জুলাই ১৯৫৫। আমেরিকান প্যান ফ্লাইট মায়ামি থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। তাদের সাথে ঘটে যায় এক অদ্ভুত ঘটনা।বিমানের ৫৭ জন যাত্রী ফ্লোরিডার প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য প্রহর গুনছিল। কোন ঝামেলা ছাড়াই বিমানটি আকাশে উড়লো। তিন ঘন্টা পরে অবতরণ করার কথা। নির্দিষ্ট সময় পর এটির কোন দেখা পাওয়া যায়নি। মায়ামির কন্ট্রোল রাডার বিমানটির কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি।
নিউইয়র্কে যোগাযোগ করার পর জানা যায় যে, আকাশ পথে হারিয়ে গেছে এটি। পাইলটের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সফল হওয়া যায়নি। বিমানে থাকা একজন মানুষেরও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রথমে ধারণা করা হয় বিমানটি তার যাত্রাপথে বিধ্বস্ত হয়েছিল।
উদ্ধারকারী দল চিরুনি অভিযানে নামলো। ৫৭ জন যাত্রী একেবারে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। এই কেসের কোন সমাধান পাওয়া যায়নি তবে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। ভালো হয় যে, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল তবে যাত্রীরা সবাই মারা গেছে।
9 সেপ্টেম্বর ১৯৯২। ভেনেজুয়েলার কারাকাস বিমানবন্দর। কন্ট্রোল টাওয়ারে একটি অপরিচিত বিমানের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। বিমানের পাইলট সেখানে বিমানটি অবতরণ করার অনুমতি চায়। এটি ছিল সেই বিমান যা হারিয়ে গিয়েছিল।
কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে জানানো হয় যে, এটি ভেনেজুয়েলার কারাকাস বিমানবন্দর আর সময়টা ১৯৯২ সাল। এটি মায়ামি থেকে ১৮০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি জানার পর পাইলট এবং সহকারী পাইলট বিস্মিত হয়ে যান।
পরবর্তী সময়ে বিমানটিকে অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। আর এখানে অবতরণ করার পর পাইলট সিদ্ধান্ত নেন বিমানটি না থামিয়ে পুনরায় চালিয়ে আকাশে নিয়ে যাবেন। এরপর বিমানটি আবার উড়িয়ে নিয়ে যান। ধীরে ধীরে বিমানটি রাডারের সীমানার বাইরে চলে যায়। এরপর বিমানটি কোথায় গিয়েছে তা আর জানা সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।