জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ড্রেনে অথবা খালে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘যেসব ভবন থেকে পয়ঃবেের্জ্যর লাইন সরাসরি সারফেস ড্রেন অথবা খালে দেয়া হয়েছে আমরা ইতোমধ্যে সেসব ভবনের একটি তালিকা প্রণয়ন করেছি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে তালিকা অনুযায়ী গুলশান, বনানী, বাড়িধারা ও নিকেতন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের হল রুমে গুলশান, বাড়িধারা, বনানী ও নিকেতন এলাকার সোসাইটির নেতৃবৃন্দের সাথে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
এসময় পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে জনগণকে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি বলতে চাই ভালোবাসা দিবস একদিন, আসুন আমরা নগরকে ভালবাসি প্রতিদিন। শহরের খালগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে প্রতিটি বাসা বাড়িতেই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনে খালগুলো হস্তান্তরের পর থেকে খালগুলো উদ্ধারের কাজ করে যাচ্ছি। খালগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেছি বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ও অন্যান্য ভবনের পয়ঃবেের্জ্যর সংযোগ সরাসরি সারফেস ড্রেনে এবং খালে দেয়া হয়েছে, এর ফলে খালগুলো দূষিত হচ্ছে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা নিয়মিত লেক পরিষ্কার করছি, খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করছি কিন্তু বাসা-বাড়ির পয়ঃবেের্জ্যর লাইন খালে গিয়ে প্রতিনিয়ত খালকে দূষণ করছে। দূষণের ফলে খালে মাছের চাষ না হয়ে সেখানে মশার চাষ হচ্ছে। সেটি আর হতে দেয়া যাবে না। পয়ঃবর্জ্যরে লাইন সারফেস ড্রেন অথবা খালে দেয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করলে সুয়ারেজের জন্য আলাদা কোন ধরনের বিল দিতে হবে না। এই বিষয়ে ওয়াসার সাথে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন সোসাইটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানাচ্ছি আপনাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে এ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি করতে হবে। শহরকে আর নোংরা করতে দেয়া হবে না।
আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরের অভিজাত এলাকায় আপনারা বাসা বাড়িতে সুখে থাকবেন আর আপনাদের পয়ঃবর্জ্য সারফেস ড্রেনে এবং খালে সংযোগ দিয়ে খাল দূষণ করবেন সেটা হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একটি পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানান ডিএনসিসি মেয়র। এমনকি যথাযথভাবে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করলে ভবন মালিকদের পুরস্কৃত করার ঘোষণাও দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, গুলশান, বনানী, বাড়িধারা ও নিকেতন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।