আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘প্ল্যানেট অব দ্য এপস’ নয়, বানরের জন্য একটি শহর। কল্পনা নয়, পুরোপুরি বাস্তব। সেই শহরে থাকবে ৩০ হাজার বানর। ২০০ একর জায়গাজুড়ে তৈরি হবে এই শহর। কী থাকবে সেই শহরে? থাকবে বেশ কিছু সাজানো-গোছানো গুদামঘর। সেখানে বানররা অবাধে বিচরণ করবে। খেলবে, নিজেদের মতো থাকবে। এজন্য খরচ হবে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া প্রদেশের ছোট্ট শহর বেইনব্রিজ। সেই শহরেই ৩০,০০০টিরও বেশি ম্যাকাক প্রজাতির বানরদের জন্য সেদেশের বৃহত্তম বানর-প্রজনন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে ‘সেফার হিউম্যান মেডিসিন’ নামে এক সংস্থা। তবে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পশু অধিকার রক্ষা গোষ্ঠীগুলো এর তীব্র বিরোধিতা করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা কেন এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছেন?
জর্জিয়ার বেইনব্রিজ শহরের বাসিন্দাসংখ্যা ১৪ হাজার। এর পাশেই ৩০ হাজার বানর এসে উপস্থিত হলে গোটা শহরই বানরদের হাতে চলে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, বানরদের থেকে শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন রোগও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
তারও কারণ আছে। বানরদের শহর বলা হলেও এটি আদত বানরদের প্রজনন কেন্দ্র। চিকিৎসা-সংক্রান্ত গবেষণার জন্য সেখান থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে পাঠানো হবে বানরদের। এর অর্থ, বানরদের উপর চলবে কাঁটাছেঁড়া। সেটা তারা মেনে নিতে পারছে না। বিজ্ঞানের থেকে ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে তারা।
তবে একটি মেডিসিন সংস্থার পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, বানরগুলোকে যথেষ্ট সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা হবে, যাতে তারা স্থানীয় এলাকায় রোগ ছড়াতে না পারে, সেজন্যও বিশেষ ব্যবস্থাও নেয়া হবে। পাশাপাশি এই কেন্দ্রে কর্মসংস্থানও হবে।
চিকিৎসার স্বার্থে প্রাণীদের উপর যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তার বেশিরভাগটাই হয় ইঁদুরদের ওপর। খুব কম ক্ষেত্রে কাজে লাগে বানর। সংক্রামক রোগ বা স্নায়ু রোগের গবেষণার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বানর ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি ওই বানরের সংখ্যায় টান পড়েছে। সেই কারণেই এই নতুন প্রজনন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সূত্র : জি নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।