জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৩২ বছর আগে দায়েরকৃত মামলার বিচারে ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন কৃষক মো. খোরশেদ আলী মণ্ডল (৫৬)। তারপর থেকে নানা জায়গায় স্ত্রী-সন্তানসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ওই কৃষক।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অরুণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী জলছত্র বাজার এলাকা থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর সোমবার তাকে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
খোরশেদ আলী মণ্ডল চিলমারী উপজেলার পুটিমারী কাজল ডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আইডিবি নামক সরকার পরিচালিত একটি সংস্থার কাছ থেকে ১৯৮৫ সালের দিকে ৩২ হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করে ঋণে শ্যালো মেশিন নিয়েছিলেন মো. খোরশেদ আলী মণ্ডল।
এ অবস্থায় টাকা পরিশোধ না করায় উক্ত সংস্থা তৎকালীন চিলমারী উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির বিচার শেষে তৎকালীন উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুল ইসলাম বিগত ১৯৮৯ সালের ২০ অক্টোবর তারিখে মো. খোরশেদ আলী মণ্ডলকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন। তখন থেকে খোরশেদ পলাতক ছিলেন।
ওসি আরও জানান, মো. খোরশেদ আলী মণ্ডল পলাতক থাকাকালে নাম পাল্টে স্থান ও পেশা বদল করে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করছিলেন। প্রথমে গাজীপুর জেলার ভোটমারী এলাকায় রিকশা চালাতেন। এরপর গাজীপুর বাইপাইল এলাকায় রিকশা গ্যারেজ দিয়ে সেখানে বসবাস করেছেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার বেড়িবাঁধ ইউনিয়নের জলছত্র বাজারে নিজেকে সৈয়দ আলী নামে পরিচয় দিয়ে চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন খোরশেদ আলী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।