আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্ম নেওয়া যমজ দুই বোন জন্মের পরপরই আলাদা হয়ে যায়। তারপর তারা আলাদা পরিবারে বেড়ে ওঠেন। দু’জনের কেউই জানতেন না আরেকজনের কথা। সম্প্রতি ৩৬তম জন্মদিনে প্রথমবারে মতো দেখা হলো যমজ সেই দুই বোনের। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
ডেইলি মেইলের তথ্য অনুযায়ী, যমজ ওই দুই বোনের জন্ম হয় দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৯৮৫ সালে। জন্মের পরেই দুই বোনকে দত্তক নেয় আমেরিকান দুই পরিবার। মলি চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আর এমিলি চলে আসেন পেনসিলভ্যানিয়ায়। এরপর তারা দুই পরিবারে আলাদাভাবে বেড়ে ওঠেন। দুই বোনের কেউই জানতেন না অন্য বোনের কথা।
এমিলি জানান, তিনি জানতেন তাকে দত্তক নেওয়া হয়েছে। যদিও দত্তক নেওয়া সেই পরিবার এমিলির সঙ্গে খুবই ভালো আচরণ করতো। কিন্তু মাঝে মাঝেই এই পরিবারের সব থেকে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা অনুভব করতেন তিনি। এমিলির এ কথা জানতেন তার ১১ বছর বয়সী মেয়ে ইসাবেল। সম্প্রতি ইসাবেল মায়ের আসল পরিচয় জানতে ডিএন পরীক্ষা করায়। ঠিক ওই সময় ঘটনাচক্রে মলিও তার স্বাস্থ্যের ইতিহাস খতিয়ে দেখতে একটি জেনেটিক টেস্ট করান।
ওই সময় চিকিৎসক মলিকে জানান, ইজাবেল নামের এক বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে তার ডিএনএ-র ৪৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ মিল আছে। চিকিৎসকের একথায় চমকে যান মলি। কারণ তার কোনো দিন সন্তান হয়নি। তখন চিকিৎসকরা বলেন, এটা তার যমজ বোনের সন্তান হওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসকের এমন কথায় বাচ্চা মেয়েটির পরিবারের খোঁজ নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেন মলি। দুজন দুজনকে ম্যাসেজ করেন এবং ছবি পাঠান। দুজনের চেহারায় যথেষ্ট মিল খুঁজে পান দুই বোন। পরে তারা নিজেদের ৩৬ তম জন্মদিনে দেখা করার পরিকল্পনা করেন তারা।
দুই বোনের প্রথম দেখার সেই দিনটি তাদের কাছে ছিল স্মরণীয় একটি মুহূর্ত। এমিলি বলেন, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের মুহূর্ত। ৩৬ বছর ধরে আমি আমার যমজ বোনের থেকে আলাদা থেকেছি। তবে একই সাথে, তাকে ফিরে পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ এবং উচ্ছ্বসিত। দুই বোনের কেউই জানেন না কেন তাদেরকে আলাদা করা হয়েছিল। আগামীকে দুই বোন নিজেদের শেকড় খুঁজতে দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।
সূত্র: ডেইলি মেইল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।