নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫৭ জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৯টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
ভোট চলাকালে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের মতো যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে ইসি। প্রতিটি ভোটকক্ষে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনী। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন মনিটরিং সেল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করছে ইসি। এ জন্য উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং সেলও গঠন করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ৬১ জেলার তপশিল ঘোষণা করা হলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞায় নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোট স্থগিত রাখা হয়। অন্যদিকে ভোলা ও ফেনী জেলার চেয়ারম্যান পদসহ সবগুলো পদে একক প্রার্থী হওয়ায় ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। বাকি ৫৭ জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান, মোট ৪৪৮ জন সাধারণ সদস্য ও ১৬৬ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এর মধ্যেও ২৬ জেলার চেয়ারম্যান একক প্রার্থী হিসেবে বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলার ১৮ জন সংরক্ষিত সদস্য ও ৬৫ জন সাধারণ সদস্য ভোট ছাড়াই জয় নিশ্চিত করেছেন। বাকি পদগুলোতে ৯২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৬০৩ জন সংরক্ষিত সদস্য এবং ১ হাজার ৪৮৫ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার সবগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র ও কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত করেন।
এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। আর প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন অন্য নির্বাচন কর্মকর্তারা। তবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠায় তাঁকে বদল করে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।