
পরে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গতকাল বুধবার জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, গত রোববার চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছিলেন সহকারী শিক্ষক মোশারফ তালুকদার। এ সময় বাড়ির কাজ জমা না দেওয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীর গাল ধরে টানাটানি করেন ওই শিক্ষক। এরপর নিজের ঠোঁট ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ঠোঁটের সঙ্গে লাগিয়ে অনেক সময় চেপে ধরে তার মুখের থুতু খেতে দেন তিনি।
স্কুল ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকদের কাছে এ ঘটনা খুলে বলে।
অভিভাবকরা জানান, ঘটনা জেনে তারা সঙ্গে সঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ. হান্নানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি পরদিন তাদের বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। কিন্তু ঘটনার পরের দিন অভিযুক্ত শিক্ষক বিদ্যালয়ে না আসায় এক প্রকার ক্ষোভ সৃষ্টি হয় অভিভাবকদের। তবে প্রধান শিক্ষক আ. হান্নান শিক্ষার্থীদের অভিভাকদের কাছে ওই শিক্ষকের পক্ষ থেকে ক্ষমা চান।
প্রধান শিক্ষকের কাছে এ ঘটনার বিচার না পেয়ে গতকাল বুধবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর সহকারী শিক্ষক মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই দিনের ঘটনা ছাড়াও শিক্ষক মোশাররফ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোশারফ তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি এমন রূপ নেবে ভাবতে পারিনি। তবে তিলকে তাল বানানোর জন্য একটা পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. হান্নান বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি বিদ্যালয়ের কাজে উপজেলায় গিয়েছিলাম। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শিক্ষকের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি।’
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাবউদ্দিন বলেন, ‘কিছুদিন আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্য এক ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



