জুমবাংলা ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ফেলে যাওয়া সাড়ে ১৪ লাখ টাকা তিন দিন পর টাকার মালিককে ফেরত দিলেন অটোরিকশাচালক মনির হোসেন।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া নিজ অফিসে টাকার মালিক রহিমা বেগমের হাতে এই টাকা তুলে দেন।
রহিমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামের মরহুম এনামুল হোসেনের স্ত্রী। অটোরিকশাচালক মনির হোসেনের বাড়ি সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, রহিমা বেগম ভুলে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা অটোরিকশায় ফেলে যান। চালক মনির হোসেন বিষয়টি জানালে তিনি প্রকৃত মালিকের কাছে টাকাগুলো তুলে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রহিমা বেগমসহ চারজন গত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে মনির হোসেনের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে চিনাইর গ্রামে নিজ বাড়িতে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে একটি ব্যাগে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেক বই ছিল। রহিমা বেগম নামার সময় ভুলে ব্যাগটি অটোরিকশায় রেখে যান। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মনির হোসেন অটোরিকশার সিটের পেছনে ব্যাগটি দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের তার ফুফা মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে অবহিত করেন।
পরে সানু মিয়া কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন টাকাগুলো চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমের। পরে সানু মিয়া বিষয়টি তার আত্মীয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়াকে অবহিত করেন।
রোববার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া তার কার্যালয়ে ডেকে রহিমা বেগমের হাতে টাকাগুলো তুলে দেন। টাকা পেয়ে রহিমা বেগম খুশি হযে মনির হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।
মনির হোসেন বলেন, শনিবার সকালে অটোরিকশা পরিষ্কার করার সময় টাকার ব্যাগটি পান তিনি। টাকাগুলো মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে তিনি স্বস্তিবোধ করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।