আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পানি পান করার অভ্যাস কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে অনেকের ভালো ধারণা নেই। পর্যাপ্ত পানি পান করা যেমন দরকার তেমনি অপর্যাপ্ত পানি পানের কারণে আপনাকে নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে। কাজেই এসব বিষয়ে ভালো ধারণা থাকাটা জরুরি।
আপনি অতিরিক্ত পানি পান করলে মৃত্যু ঝুঁকি এড়াতে পারবেন না। মিলিটারি ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে এ ধরনের উদাহরণ দেখা যায়। কেউ পানি পান করতে না পারলে তাকে জোর করা উচিত নয়। কী পরিমান পানি পান করা উচিত সেটা একই সাথে আবহাওয়ার উপরেও নির্ভর করে।
তাছাড়া ওই ব্যক্তির বয়স কেমন তিনি কতটুকু শারীরিক শ্রমিক অবস্থা এসব বিষয় দেখা উচিত। যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত তাদের অতিরিক্ত পানি পান করা সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তবে আপনি যদি তৃষ্ণা অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই আপনার পানি পান করা উচিত। এসব বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাটা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান এর সুফল হলো যে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং শরীরের সমস্ত কোষ সবল থাকে।
আপনি যদি ঘণ্টায় এক লিটারের বেশি পানি পান করেন তাহলে কিডনির অতিরিক্ত পানি বের করার ক্ষমতা থাকে না। কেননা একটা নির্দিষ্ট সময় লোকদের ক্ষেত্রে এ কার্যক্ষমতা কমে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রেও কিডনির কার্যক্ষমতা কম থাকে।
কম সময়ের মধ্যে আপনি তিন থেকে চার লিটারের বেশি পানি পান করলে এটি ক্ষতিকর প্রভাব বয়ে আনতে পারে। অতিরিক্ত পানি পানের ফলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক কমে যায়- এই অবস্থাকে বলা হয় ‘হাইপোন্যাট্রেমিয়া’। এর ফলস্বরুপ দেহের কোষগুলো স্ফীত হতে শুরু করে। এক পর্যায়ে মস্তিষ্ক কোষের স্ফীত হওয়ার কারণে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা কোমায় চলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।