আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার জেরে চলমান লকডাউনে শিক্ষাব্যবস্থা সচল রাখতে ভারতে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। তবে দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা, টিভি, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন নেই। পর্যাপ্ত সুবিধার অভাবে অনলাইনে ক্লাস না করতে পারছে না অনেকেই। আর এজন্য পড়াশোনায় পিছিয়ে যাবার আশঙ্কায় আত্মহত্যা করলেন নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।
কেরালার মালাপ্পুরম জেলার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ যে অনলাইনে ক্লাস করতে পারার সুবিধা না থাকায় ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিল সে। ছাত্রীর দিনমজুর বাবা জানান, ‘বাড়িতে টিভি থাকলেও সেটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ও আমাকে বলেছিল যে টিভিটা মেরামত করা দরকার তবে আমি করাতে পারিনি। আমি বলেছিলাম অন্য উপায় ঠিক হবে, বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে পড়া যাবে।’
‘পরিবারটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় সে আশঙ্কা করছিল যে তার পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা গেছে যে, প্রথম থেকেই টিভি বা অনলাইন ক্লাসের সুবিধা না পাওয়ায় খুব চাপের মধ্যে ছিল সে’-এনডিটিভিকে বলেন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
কেরালার শিক্ষামন্ত্রী সি রবীন্দ্রনাথ এই মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়ে জেলা পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছেন।
করোনভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের পরে কেরালার ভিক্টরস চ্যানেলে প্রচারিত ‘ফার্স্ট বেল’ নামক অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে ১ জুন থেকে নিজেদের শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছিল। ক্লাস ১ থেকে ১২ পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষার্থীর বিস্তারিত সময়সূচিও জানানো হয়েছিল। তবে, রাজ্যের আনুমানিক আড়াই লাখ শিক্ষার্থীর কাছে টিভি কিংবা ইন্টারনেটে ঢো্কার কোন বিকল্প যন্ত্র নেই। স্পনসরদের সহায়তায় ছোট দল করে ল্যাপটপ দেওয়ার বিষয়ে সরকার কাজ করছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ভারতজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ায় মার্চ মাসে স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছিল। আগামী ৩০ জুন লকডাউন শেষ হলে জুলাই মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।