জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরে ফারুক হোসেন জাকারিয়া নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনার্স পড়ুয়া শ্যালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষক নিজ স্ত্রী ও শ্যালিকা তার স্বামীকে রেখে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন জাকারিয়ার এমন অসামাজিক কাজের জন্য তিনটি পরিরারকে চরমভাবে খেসারত দিতে হচ্ছে। তারা বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষক ফারুকের স্ত্রী কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রুবিনা পারভীন জানান, তার ১৫ বছরের বিবাহিত জীবনে স্বামীকে চিনেছেন একজন পরনারী লোভী ব্যক্তি হিসেবে। জানা যায়, শিক্ষক ফারুক পরনারীর প্রতি আসক্ত হয়ে একবার তার স্ত্রী রুবিনাকে তালাক দিয়ে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেছিল। পরে স্থানীয় সমাজপতিদের নিয়ে শালিস মিমাংসার মাধ্যমে পুনরায় রুবিনাকে আবার ওই স্বামীর সংসারে যেতে হয়েছিল।
স্ত্রী রুবিনা জানান, এরপর স্বামী ফারুক তার ছোট বোনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে তাকে নিয়ে অন্যের বাসায় বাসা ভাড়া করে থাকে। পরে স্ত্রী ও শ্বশুরকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার লক্ষে একই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হামিদের নিকট থেকে সুকৌশলে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আর কৌশলে ও চাপসৃষ্টি করে স্ত্রী রুবিনার নামে পাঁজিয়া রুপালী ব্যাংক থেকে শিক্ষক লোন তুলতে বাধ্য করেছেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। একইভাবে জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন থেকে লোন তুলিয়েছেন দেড় লাখ টাকা।
মব মিলিয়ে স্ত্রী রুবিনার নামে লোন উঠিয়েছেন ৬ লাখ টাকা ও রুবিনার বাবার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকাসহ মোট ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। স্ত্রী রুবিনার নামে দুটি স্থান থেকে নেয়া লোনের প্রতি মাসে কিস্তি দিতে হয় ১৮ হাজার ৫০০ টাকা হারে।
স্ত্রী রুবিনা তার স্বামীর এহেন কৃতকর্মের সুষ্ঠ বিচার এবং টাকা আদায়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে রুবিনার ছোট বোনের স্বামী কেশবপুর উপজেলার খোপদহি গ্রামের বাহারুল ইসলামও বাদী হয়ে শিক্ষক ফারুকের বিরুদ্ধে আরও একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, তার স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার চরিত্র হনন করে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে শিক্ষক ফারুক।
বাহারুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রীর সাথে স্বর্ণালংকার ছাড়াও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। বাহারুল ইসলাম তার স্ত্রীকে গত ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট বিয়ে করার পর এইচএসসিসহ বিএ অনার্স পর্যন্ত লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ বহন করে বর্তমানে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বাহারুল বলেন, স্ত্রীর অনার্স শেষ পর্বের শেষ পরীক্ষার দিন সে তার ওই লম্পট দুলাভাইয়ের সাথে চলে গেছে। কেশবপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের মত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হয়ে যে ব্যক্তির স্ত্রী থাকার পরও নিজের শ্যালিকাকে নিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কার্যকলাপসহ ফুর্তি করতে পারে, সেই ব্যক্তি শিক্ষক হিসেবে থাকা মানেই ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য অভিশাপ।
এ ঘটনার বিষয়ে ফারুক হোসেন জাকারিয়া জানান, শ্যালিকার সাথে তার কোন অনৈতিক সম্পর্ক নেই। শুধুমাত্র শ্যালিকা দুলাভায়ের মধ্যে যে ধরনের সম্পর্ক থাকে আমার সাথে তার সে ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। ফারুক আরও জানায়, শ্যালিকা পড়ালেখা করার জন্যে বিভিন্ন স্থানে থেকেছে আমি তার দুলাভাই বা আত্মীয় হিসেবে সে সমস্ত স্থানে গিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।