আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কেটে টুকরো করে সেগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ভারতের উত্তরপ্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত স্বামী রবীন্দ্র কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ৪ জানুয়ারি রবীন্দ্র স্ত্রীকে মর্মান্তিক ভাবে খুন করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে। এ খবর জানাজানি হয় যখন তাদের বড় মেয়ে মামাবাড়ি থেকে ফিরে তার দাদির কাছে পুরো ঘটনা জানায়। সেই একমাত্র মায়ের খুনের প্রত্যক্ষদর্শী। এ খবর জেনে নিহতের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেন এবং গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামীকে। দেহের অবশিষ্ট অংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে।
পুলিশের অফিসার বিনীত সিং জানান, মৃত ঊর্মিলা দেবীর বোন ১০ জানুয়ারি ডিহ থানায় অভিযোগ দায়েরের পরেই রবীন্দ্রর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু দেহ দেখে চেনার উপায় ছিল না, দেহটি কার।
এদিকে ৪ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের পরেই ১১২ হেল্পলাইনে ফোন করে স্ত্রী নিখোঁজ বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় রবীন্দ্র। তবে জানাজানির পরেই পালিয়ে যান রবীন্দ্র। পরে নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০১১ সালে বিয়ে হয়েছিল রবীন্দ্র-ঊর্মিলার। তাদের ১১ এবং ৭ বছরের দু’টি মেয়ে আছে। তারপরেও ছেলের শখ ছিল রবীন্দ্র। তাই আবার গর্ভধারণ করেন স্ত্রী।
৪ জানুয়ারি কথা কাটাকাটি থেকে অঘটনের সূত্রপাত। মাথা ঠান্ডা রাখতে না পেরে সে প্রথম ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে স্ত্রীকে। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে জ্বালিয়ে দেয়। পোড়া দেহের বাকি অংশ এবং ছাই ব্যাগে ভরে বাড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে পুঁতে রেখে আসে সে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।